বেতন আমার লাঠি ধরে হাঁটে,বারেবারে শুধু কমছে,
ওগো ঈশ্বর সব মনে রেখো,স্বপ্ন দুমড়ে জমছে।
ছয়-সাত পেটে ক্ষুধা হেঁটে চলে,সুগভীর দুশ্চিন্তা,
মাথার উপরে সংসার নাচে,ঘাড়েগর্দানে ঋণ টা!
দূর পথেঘাটে,চলন্ত বাসে,আমি ট্রেনে মরি নিত্য,
বাবু শুধু হাততালি দিয়ে হাসে,আমরা বিনত ভৃত্য।
আলোর আশায় সকাল-সন্ধ্যা তুলেছি বুকের রক্ত,
লক্ষ্য আমাকে জবাই করেছে!বিরল মারণ ওক্ত।
আলো-আঁধারের খেয়ালি খেলার গোলকধাঁধায় দৃষ্টি-
কালবৈশাখী আছড়ে ভাসায় কালচে নয়নে বৃষ্টি।


তবুও নিত্য চাবুকের ঘায়ে গরুর মতন ছুটছি!
শহরে-নগরে তালা ঝোলে আজ,ভয়ের আগুনে ফুটছি!
কোম্পানি তাই সুবিচার করে অর্ধেক দিলে মাইনে!
বড্ড ইচ্ছা গর্জে বলব,তাদের ভিক্ষা চাই নে!
সন্মান করি প্রতিক্ষণে-ক্ষণে ছোট হোক তবু কাজকে,
ঠিক ততোধিক ঘৃণা বলে মানি মুখোশী ধান্দাবাজকে।


আমি বলে দেব প্রভুকে আমার,যাক সে দানব চটকে!
চাকরিটা আর থাকবেনা জেনে সেলাই কি দেব ঠোঁটকে?
প্রতিবাদ করি আকাশে-বাতাসে তাদের নোংরা ভুলকে,
তারা নিশ্চিত খুঁচাবে আমার গুপ্ত ফোড়াকে চুলকে!


আমরা তাদের মাথায় তুলেছি,দিয়েছি সুযোগ ফসকে,
কপালের ফের বললেই হবে কৃতকর্মের দোষ কে?
তোমরাই সেই স্বার্থের দাস লুকিয়েছ সুখ কিনতে,
তোমরা আপন ভুলে গিয়েছিলে সঠিক সময়ে চিনতে।
চলনা বন্ধু নায্য দাবীতে একসাথে এক সঙ্গে
দাসত্ব নয়,সম অধিকারে বেঁচে থাকবার জঙ্গে!