উত্মাল জনতা, লাশের ভীড়ে আমি দেখেছি,
শহরের বুকে কাউকে একটু বেশীই মূল্য দিয়ে !
তুচ্ছ বৈ, আমায় তো সে আর কিছুই ভাবেনি!
সমাজের বুকে হেঁটে চলেও আমি দেখেছি,
মানুষের ঐ কদর্য নগ্নরূপ! - তাঁর হিংস্রতায়,
নিষ্ঠুরতার যেন পাষন্ড পাশবিক প্রবৃত্তির রঙধনু
শঠতার ভীড়ে কীভাবে সততাকেও হার মানায়।মানুষ মানুষকে কাঁদিয়ে আজও ঈশ্বর পূজারী!
মসজিদ ভেঙে মন্দির, - ধর্মের নামে বাটপারি!
লাভ নেই ! - পূণ্যফল লুম্পেন কপালে জুটেনি।
বীজ রোপণের কুশলে বিষ ঢুকিয়ে দেখেছি,
নীলকন্ঠ শোভিত উদ্যান পর্যন্ত হাঁটা যায় কিনা!
কাঁটার পথে অন্ধ পথিকের মতো হেঁটে গেছি!
অথচ কাঁটার দোষ অমি কীভাবে দিই বলো ?
পা তো নিজেই ছুঁইয়ে হেঁটে চলেছি অনন্ত পথ।
এখনও যে কেন মানুষ মিথ্যাকেই বিশ্বাস করে!
সত্যি তো আজও প্রমাণ দিয়েই প্রমাণিত হয়।
শুনেছিলাম সময়কেও নাকী বদলে যেতে হয়,
এখন সময়ই প্রতিনিয়ত আমাকে শেখায় যে,
স্বার্থের পৃথিবীতে কীভাবে মানুষেরও বদল হয়।
ভেজা মুহূর্তগুলো শুধু রয়ে যায় স্মৃতি পাড়ায়।
অবেলায় অবসরে ওরা যে চঞ্চল হৃদয় নাড়ায়।
যদি মৃত্যু হতে! - একদিন ঠিকই ফিরে আসতে।
তুমি যে আমার জীবন! -- ছেড়ে তো যাবেই।
আবার কখনো ইচ্ছে হলেই, আমায় ডেকে নিও
সময়ের ঘেরাটোপে আজও অমি বন্দী থাকি!
মানুষরুপি বহুরূপী, তাঁর বহুরুপ আমি দেখেছি
তবে আমি তো আর সেই গলে যাওয়া সময় নই
যে চাইলেও কখনো ফিরে আসতে পারবো না।