ভ্রাম্যমান পৃথিবীর বুকে এক ছোট্ট পিপীলিকা আমি,
সুখ দুঃখের পরিধি প্রায় নেই বললেই চলে।
তোমাদের ফেলে দেওয়া একটুকরো নোনতা বিস্কুটের গন্ধ পেলেই,
আমরা খাদ্যের সন্ধানে ছুঁটে চলি দলে দলে।
তোমাদের মতো হয়তো আমরা সভ্য নয়!
তবুও অসভ্যের মতো আমরা জাত-পাত মানি না,
আমি হিন্দু,  নাকি মুসলিম, নাকি আমি খ্রিস্টান ?
ওরে বাবা, অতশত ধর্মের নাম-ই আমি জানি না !
আচ্ছা ধর্ম কি হয় পা গুনে, নাকি মাথা গুনে ?
নাকি ধর্ম হয় নিজ নিজ কর্ম গুণে ?
বলতে পারো রক্তের মাঝে ধর্মের পার্থক্য কোথায় ?
তবে কি লাভ ধর্মের নামে অধর্ম আর হিংসার বীজ বুনে ?
এই আমাদের দেখো, মিলেমিশে আছি কত মহাসুখে,
একটুকরো দানা ভাগ করেও অন্ন তুলে দিই একে-অপরের মুখে,
আবার তোমারাই যখন আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করো,
তখন বাসা ছেড়ে দলবদ্ধভাবে বেরিয়ে পড়ি ভাঙা বুকে!
তবুও তোমাদের মতো স্বার্থপর হতে পারিন!
স্বার্থের জন্য প্রিয়জনকে কখনোই আমরা ছাড়িনা!
হতে পারে আমরা ক্ষুদ্র, আমরা নগণ্য, আমরা তুচ্ছ,
তবুও আমাদের প্রত্যেকের মন কাঁচের মতো স্বচ্ছ।
তোমারা হয়তো সু-উচ্চ, অতিকায়, লম্বা বীর!
ধর্মের খেলায় মেতে আজ, ঘ্যাচাং-ফু হয়েছে তোমাদের মনুষ্যত্বের শির।
মনুষ্যত্বহীন শির নিয়ে তোমরা যখন আমাদের অবাক হয়ে চেয়ে দেখো,
জানো আমাদের খুব করুণা হয়না হয়।
একদিন না জানি মানুষ মানুষের মাংসাশী হয়ে যাবে,
এ যে কোনো দুঃস্বপ্ন নয়, তাই তো যত ভয় ।