দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে, ঠাকুর উঠোনে বাস।
খেটে খেটে হাড় কালি তার হচ্ছে বারোমাস।
মা মরেছে বাপ ছেড়েছে, কেউ রাখেনি কাছে!
অর্ধ নগ্ন দুর্গা এখন, -- কামীর চোখেই ভাসে।
সূর্য ওঠে ডোবে আবার, চাঁদের যত বায়না!
নির্জন রাতে ভয়ের বন্যা, - আসে যদি হায়না!
লাল পলাশে আবির রাঙা,- মুখখানি তার বেশ!
রুক্ষ হৃদয় জীর্ণ বস্ত্রে,-- কামিনী কালো কেশ।
দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনেই বাস,
খেটে খেটেই হাড় কালি তার, হচ্ছে বারোমাস।
কফির ধোঁয়া প্রেমের ছোঁয়া, রঙ লাগেনি মনে।
হিষ্টপুষ্ট নাদুস নুদুস শরীর ঢলা জোয়ার যৌবনে
সত্যি যেদিন হায়না এসে, - রক্ত মাংস খেলো--
যাবার আগে হাড় কঙ্কালে বীজটি পুঁতে গেলো!
দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনে বসে,
ধন্যি মেয়ে জন্ম তাঁহার, -- শিশির ভেজা ঘাসে।
সুপ্ত বীজ পূজা নামে, -- আজ ইস্কুলেতে পড়ে!
রাস্তা ঘাটে বিপর্যস্ত সে, ধূর্ত লোকের কুনজরে।
নেই তো দুমুঠো ভাত জোগান সময় অসময়!
থাকার মধ্যে আছে শুধু, -- নারী শরীরে ভয়।
এক পেট ক্ষুধা তবু, -- পূজা নেশায় ছোটে--
বন্ধ্যা মাটিই বীজ রোপণে অনাহারে দিন কাটে.
অথচ কত ভাতের ছড়াছড়ি, কেন পায়না তবে?
কিসের জন্য ঘরে তবে আজ দূর্গাপূজা হবে?
বাঁচাতে হবে নারী সম্মান, - দুর্গা পূজার নামে--
প্রয়োজন তো অধিক আজ, শহর কিংবা গ্রামে।
দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনে বাস
খেটে খেটে হাড় কালি তার হচ্ছে বারো মাস।