একদিন তোমাকেও আমি বলবো,
কেন পাহাড় হতে চেয়েও পাথর হয়ে গেলাম।
একদিন তোমাকেও আমি বলবো,
কীভাবে সফেন সাগর থেকে অশ্রুবিন্দু হলাম!
হৃদয় গহীনের নীল কলিজার ওই একটুকরো,
শুকনো কাঠগোলাপ, - সে তো শুধুই,
তোমার জন্য স্ব'যত্নে লুকিয়ে রেখে ছিলাম ।
তাই একদিন তোমাকেও আমি বলবো,
কোন জাদুতে এখন আর দু'চোখ ভিজে না।
নিষ্ঠুর এই একা একার, ক্লান্ত, ব্যস্ত, পৃথিবীতে,
পুরুষ যন্ত্রনায় কীভাবে "আত্মহুতি" দিতে হয়!
একদিন তোমাকেও আমি সব বলবো।
এ পথের কত মানুষকেই তো দিয়েছি ফিরিয়ে!
ফাগুনের লাল আগুনকেও দিয়েছি নিভিয়ে!
শুধু তোমাকে আবার ফিরে পাওয়ার আশায়!
অথচ তুমিই মুগ্ধ হলে অন্যের ভালোবাসায়।
একদিন তোমাকেও আমি বলবো, -- কীভাবে
কালো মিথ্যাটাকে শুভ্র ছায়ায় ঢেকে নিলাম!
নিভে যাওয়া প্রদীপের অন্ধকারে, -- কীভাবে
বেঁচে ছিলাম একদিন তোমাকেও আমি বলবো।
প্রতিটা রাত যে, - আজও আমায় জানান দেয়,
কষ্ট'রা বাড়ি চিনে গেলে আর পিছু ছাড়ে না।
এরপর, -- এরপর আর কী ? - এভাবেই,
কথা না বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেলো,
যেমন একদিন কথা বলতে বলতে হয়েছিল।
অনেক কিছুই পারি! -- তবে তোমার মতো,
সহজভাবে অস্বীকার করা তো সম্ভব হয় না।
নাহয় তোমাকে ভালোবেসে আমি ভুল করেছি!
ভুল করে, - নষ্ট ফুলের রাঙা পরাগ মেখে,
পাঁচ দুপুরের নির্জনতাকে আমি খুন করেছি !
তবু এক জীবনে আর কতোটুকু নষ্ট হতে হবে ?
মানবী আর কতোটা তুমি আমায় কষ্ট দেবে?
একদিন তোমাকেও আমি সব বলবো,
কীভাবে আঙ্গুলের ডগায় সরীসৃপের জন্ম হয়!
কথা দিলাম একদিন তোমাকেই আমি বলবো,
কীভাবে ভালবেসে ভালবাসার মানুষ তৈরী হয়!