হে কবিবর, -- কবির শ্রেষ্ঠ কবিগুরু!
তোমার চরণে লেখা অর্পণ করেই আমার জীবনের লেখা শুরু।
সেই কবেকার কথা, -- জানো তো কবি মনে পড়ে আজও,
বয়স তো আর কম হলনা কিছু -- এই আমারও,
বিশ বসন্তের অবসানে আজ একুশ বসন্তে রেখেছি পা!
তবুও প্রতিটা রাতে, সকালে শুধু তুমি-তুমি, আর তোমারই আরাধনা.
বারোটা বসন্ত আগে, -- যখন সকালের আলো ফুটলেই ছুটে যেতাম পাঠশালা,
জানো টান ছিল বড়, তাই তো তোমাকে নিয়েই খেলেছি,  - ' রবিবারের রবি খেলা '।
শুনেছি ভূতে নাকি মারে চার ঢেলা! -- তাই পথে যেতে যেতে যদি ভয়ে শুকিয়ে যেত প্রাণ!
তখন একলার ভয় কেড়ে নিত তোমার ওই সুরে বাঁধা গান,,,
" যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একল চলো রে..."।
আজ আমি কবি একলাই চলি! - তবে রাতের আকাশে জানলা দিয়ে চাঁদ দেখা দিলে,
জানো কবি আজও মনে পড়ে, -- " চলো যাই চাঁদে চড়ি, সারারাত ধরি। "
না জানি এমন আরো কত কী, শুধুই ফিসফিস আর বিড়বিড় করি!
আজও সেদিনের মতোই সুখে, দুখে, ভালোলাগা, ভালবাসা সবেতেই তোমার সঙ্গ পাই,
আসলে তোমার কাছেই তো শিখছিলাম জন্ম-মৃত্যুর সমভাবনা -- তাই মৃত্যুকে আর ভয় নাই।
জানি কবি জানি, আজও তুমি তেমনই আছো! -- অন্তত আমার শয়নে স্বপনে.
বারোটি বসন্ত আগে যেমন ছিলে, -- আমার মনের গোপনে!
তাই প্রণাম যেন তোমার চির পাওনা, -- এ সবই তো তোমারই দান!
তোমার সুরে সুর মিলিয়ে আজও গেয়ে চলি প্রভাতি সুখের গান।
তোমার পদধূলিতেই কবি ধন্য হয়েছি আমি, -- আর ধন্য হয়েছে ধরা!
তাই আজ শুধুই স্মৃতির অকপটে তোমার স্মৃতির স্মরণ করা।