হে মোর প্রভু কৃষ্ণ, -- তুমি কোথায় ?
চেয়ে দেখো  রাজপথে ওরা যে আজও অসহায়!
সভ্য সমাজ হতে ফেলে দেওয়া একমুঠো অন্ন,
চেয়ে দেখো প্রভৃ আজ, ওদের কাছে তা পরমান্ন!
আর ওই যে বস্তির মেয়ে রাঁধা,
রাতের আঁধারে নিয়তি যার কাল কুঠুরিতে বাঁধা,
অথচ রোজ রাতে যারা পর্দার আড়ালে করে পণ্যের নষ্টামি,
চেয়ে দেখো প্রভু আজ, বাহান্ন ভোজন হাতে তাদেরই ভন্ডামি !
হে মোর দীননাথ তুমি কোথায় ?
পাশবিক শক্তি যে আজ হাঁতুড়ির ঘা মারে স্রষ্টার মাথায়!
তাই সৃষ্টিরা বৃষ্টির জলে ধুয়ে মুছে শুধুই একটুকরো ধ্বংসের স্তূপ!
বলো প্রভু বলো, আর কালে কালে কতো দেখবো হিংস্র মানুষের এই রূপ ?
শুনেছি জগতে যখনই পাপীদের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে,
তখনই নাকি ভিন্ন রূপে বারবার তোমার আবির্ভাব হয়েছে ?
তবে আজ কেন কালের সুষুপ্তিতে ভক্ষকে করেছো ভক্ত,
আর বাহান্ন ভোজনে রক্ষকের থেকে চেয়েছো মানুষের রক্ত ?
তবে কি তুমিও মানুষের  রক্তে পেয়েছো নতুনত্বের স্বাদ ?
যদি এ হয় মিথ্যে তবে কোথায় তোমার সেইসব প্রতিবাদ ?
কোথায় তোমার শান্তির সেই মন জুড়ানো অভয়া বাণী ?
যদি পারো তবে ফিরে এসে মুছে দাও হে প্রভু সকল গ্লানি,
তবেই আমি ভজিবো প্রভু কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।
হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ তোমায় দেবো আমার সহস্র প্রণাম !