হঠাৎ করেই প্রশ্ন করলেন--
" অহেতুক, -- এই কাঁটাতার কে দিয়েছে?
আচ্ছা বাঙালির কি কোনো ভাগ হয়? "
সবিনয় উত্তরে কবি বলিলেন--
ওরা তো কাঁটাতারেই সর্ব স্বার্থ সুখী হয়েছে!
বাঙালি এক ও অদ্বিতীয়, - ঘটি বাটি কিছু নয়!
আমি বললাম--
নির্বাক বন্ধু যেন সে ল্যাম্পপোস্টের সমান!
বকবক করা বন্ধু তো প্রেমীর ওই ভগ্ন হৃদয়!
আমরা শুনলাম--
পৃথীবিতে প্রেম নেই, -- উপলদ্ধি নাকি অনুমান?
বয়সী চোখের ছাপেই অশ্বত্থে নব বসন্ত উদয়!
কবি বলিলেন--
হিমালয় সম চিরদিন - শুভ্র তুষার তোমার হোক!
তুমি নাহয় বৃষ্টির ফোঁটা ধরেই উঠে এসো---
ওপার বলিলেন--
আমি যে বন্ধুহীন - মনের মাঝে গভীর শোক!
মিথ্যে মায়ায় বাঁধতে চাইনা, বৃথা ভালোবাসো?
প্রেম তো ঠিক এভাবেই হঠাৎ করে আসে--
এপার থেকে ওপারে, প্রেম যে অনন্য ইতিহাসে।
নাটোরের বনলতা, - আজ সে মায়া বনের মৌ--
না পেলো জীবনানন্দ, - না সাজলো কবির বৌ!
আমি তো সুনীল নই, - মীরাও তো আমার নয়--
আমি যে নির্ভয়, নেইতো কিছু হারানোর ভয়!
লাল শাড়ি, চুড়ি, বৌ, ওড়না সব আছে পড়ে!
প্রেম পাখি দানা খেয়ে আজ ফিরে গেছে বনে।
না পেয়েছি প্রেমিক ভালা, -- না পেয়েছি বর!
তুমিই আল্লাহ তালা, - আর আমি জীবন্ত ঈশ্বর!
না আছে আমার আকাশ, - না আছে ঠিকানা!
না আছে মনে বিশ্বাস, - না আছে রঙে কল্পনা!
আছে শুধু মুখোশ, - বিলাসিতায় চিঠি নিখোঁজ,
বিষণ্ণ খঞ্জনার আক্রোশ - দীর্ঘশ্বাসে ভরা বোঝ!
নাটোরের বনলতা, - আজ সে মায়া বনের মৌ--
না পেলো জীবনানন্দ, - না সাজলো কবির বৌ!
আমি তো সুনীল নই, - মীরাও তো আমার নয়--
আমি যে নির্ভয়, - নেইতো কিছু হারানোর ভয়!