মুখের আড়ালে, - ওই যে প্রলেপ দেওয়া,
পোষাকি মুখোশটা, - তোমরা খুলে দিলেই!
বিশ্বাস করো, - বা নাই করো!
আমি আর মুখ লুকাবো না।
ভেতরের মৃত মানুষটাকে বাঁচিয়ে তুললে,
বৃথা লাশের অভিনয় আমি তো করবো না!
মানুষের প্রতি হিংসা করা ছেড়ে দিলেই,
বহু সাধের সিগারেট নাহয় ছেড়ে দেবো!
রাস্তার পাশে ঐ বাংলা ভাটিগুলো বন্ধ হলে,
সুস্থ সমাজে আমি শিক্ষিত কারিগর গড়ে নেবো।
তোমরা একবার যদি রক্ত খাওয়া বন্ধ করে দাও,
জল ছাড়া আমি আর কোনো পানীয়ই খাবো না!
অন্যের মাংস খাওয়া তোমরা বন্ধ করে দাও
সত্যি বলছি, - এক্কেবারে তৃণভোজী হয়ে যাবো।
বেশ! - তবে খাঁচা তৈরি করা বন্ধ করে দাও,
পণ করছি, শিকার করা আমিও বন্ধ করে দেবো।
আমাকে যদি বেঁচে না দাও, - কথা দিলাম,
আমি'ও বেঁচবো না তোমার ওই গৈরিক বিশ্বাস।
কবরের কাছে লাশ বেচে পাওয়া যে দাম,
আমি তো চাইনি তার কোনো ভাগ--
পৃথিবীতে শুধু হাসতেই জন্মেছিলাম--
আমায় তুমি আর হাসতে বাধ্য কোরো না!
একবার যদি সেই অট্টহাসি শুরু হয়,
তবে ঐ ঠান্ডা লাশের পাশে বসেও,
সে হাসি কিছুতেই তুমি থামাতে পারবে না।
সমাজের বুকে আজও সিংহাসন না থাকলে,
শিশুদের বলতাম না, - মানুষ কতটা বজ্জাত হয়!
মুখে মুখোশ টেনে মানুষও যে কীভাবে সভ্য হয়!