বলতে পারো সম্পর্কগুলো এমন কেন হয় ?
অহ্নিক গতিতে শেষ, বার্ষিক গতিতে কেন নয় ?
কাল যে আপন ছিল, আজ সে তো পর!
কাকে নিয়ে বাঁধবো তবে সাধের এই খেলাঘর ?
বিশ্বাসের দেওয়ালে যে আজ অবিশ্বাসের শ্যাওলা জমছে!
তাইতো সম্পর্কের পর্ণ কুটিরেও ফাটল ধরছে ?
প্রেয়সীর গলে যাওয়া প্রেম, আর বন্ধুদের বিদ্রুপ, এই কি যথেষ্ট নয় ?
তবে আর কীসের ভাঙন, আর কীসের-ই বা ভয় ?
ওকে ভাঙতে দাও!
ভেঙে ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে দাও।
আমি দেখি, ও আর কতটা নিজেকে ভাঙতে পারে!
ভাঙনের নেশায় ও কখন নিজেকে বালুকণায় পরিণত করতে পারে।
শতাব্দী পর শতাব্দী ও নাহয় এভাবেই ভেঙে চলুক,
তারপর একদিন সুনামিতে পৃথিবীটা আর একবার কেঁপে উঠুক!
দিকশূন্য হয়ে উড়ে আসুক ভাঙনের সমস্ত কণাগুলো,
আর চাপা পড়ে যাক অবিশ্বাসের যত ময়লা ধুলো!
তারপর নাহয় আরও একটা যুগ কেটে যাক জীবাশ্ম হয়ে,
তবুও তো একদিন বৃষ্টির জলে সমস্ত গ্লানি ধুয়ে,
ফিরে পাবো মানবতার দৃঢ় বন্ধন আর বিশ্বাস,
ফিরে পাবো প্রেয়সীর প্রেম আর বন্ধুদের দেওয়া আশ্বাস,
বলতো সেদিন কেমন হবে ?
যেদিন এই খোলা নীল আকাশটাই আমাদের এক ছাঁদ হবে,
আর সেখানে তোমার-আমার মতো হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়ে,
ধর্ম, রাজনীতি, স্বার্থ নয় শুধুই মানবতার জয় ধ্বনি দিয়ে,
গেয়ে যাবে মানুষের জয় গান,
আর ফিরে পাবে নিজের আত্মসম্মান!
সত্যি করে বলতো সেদিন কেমন হবে ?
তাই এই ভবে,
আর একটা সুনামি প্রয়োজন !
হে মানুষ তোমরাই করো তার আয়োজন!
সত্যি বলছি আর একটা সুনামিই যথেষ্ট, সমস্ত কিছু বদলে দিতে ,
যদি পারো, তবে সংঘটিত করো, এই পৃথিবীকে বদলে নিতে !