আজ বাইয়ের দোর গোড়ায় চুল্লু খেয়ে চুল্লীর উপর শুয়ে,
অবচেতন মনে চিবিয়ে খাই বহু সাধের মিষ্টি একটি পান!
আজ মনে জেগেছে ভৈরবী, তাই গঞ্জিকাতে বুক জ্বালায়!
সিগারেটের আঁধো আলো মায়াবী বিষাক্ত কালো ধোঁয়া,
আজ আর বাসর রাতের কামনা নিয়ে আমার ফুসফুসকে স্পর্শ করে না!
আজ একটা আঁধ পোড়া কাল্ত বিড়িই, একাকী নিরালায় সুখ টান দিয়ে যায় !
আজ তো আমার জীবনের অন্তিম সেই দিন, যেদিন,,,
কাক ডাকা মুখরিত ভোরে পুলকিত হওয়া, এক স্টেশন দূরে, --
ফেলে আসা যৌবন জ্বালার একটুকরো নোটবুকে,
লিখে রাখা 'নষ্ট রাতের নিশি যাপনের' ইতিকথার এক একটি সুমধুর দিনের, --
এক একটি কামুক চাওয়া পাওয়ার, ইতি টানার সুবর্ণ সেই অন্তিম দিন!
যেদিন প্রিয়তমা নিরালায় একাকী বসে,
গঞ্জিকা, সিগারেট, বিড়িতে অক্সি অ্যাসিটিলিনের,
বিষক্ত হেমলোকীর কালো অগ্নি ঝড় তুলে নিঃশোষিত করছি,
তোর সাথে কাটানো এক একটি স্মৃতি মেদূর দিনের,
এক একটি জীবন্ত মুহূর্তের শেষ আভিলাশ, -,,
' আমাকে আরও কিছুদিন প্রিয়ার সাথে শান্তিতে বাঁচতে দাও: ' !
হে ঈশ্বর,-- লোকে বুলে তুমিই নাকি স্থিতি সৃষ্টির শেষ কথা,
তোমার কাছেই নাকি, শুদ্ধ মনে প্রার্থনা করলে সবকিছু পাওয়া যায় ?
তবে হে নিষ্ঠুর ভগবান, আজ কেন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছো ?
চুপ করে কী দেখছো ? -- 'দহন' ? 'আত্মহ্যুতি' ? নাকি ?
প্রিয়ার সাথে কাটানো এক একটি দিনের এক একটি জীবন্ত ফসিলে,
জ্বালে ওঠা শেষ আর্তনাদ, বুক চাপা করুন চিৎকারের রক্ত বমিতে,
বেরিয়ে আসা শেষ চাওয়া, " আরও কিছুদিন প্রিয়ার সঙ্গে বেঁচে থাকতে চাই,
আরও কিছুদিন স্মৃতির সৃষ্টিতে বিলীন হতে চাই ! "
ধিক্, হে ভগবান ধিক্, আজ তোমাকে শত শত ধিক্কার জানায়,
আজ তো তোমাকে দেখে আমার করুণা হচ্ছে, মনে হচ্ছে তুমি তো ঠুঁটো জগন্নাথ,
আমাকে দেওয়ার মতো তোমার সামর্থ্য কোথায় যে তুমি দেবে!
তুমি তো প্রিয়ার মতোই চিরকাল আড়ালে হাত পেতে নিতেই শিখেছো,
তুমি আবার কেমন করে আমার প্রিয়ার মনে আমার ভালোবাসা সঞ্চার করবে !
তাই তো রক্তাক্ত ডাইরির সুরক্ষিত পাতা জুড়ে লিখে রেখে,
আমার জীবনের ইতি টানলাম একটুকরো ছোট্ট সুইসাইড নোটে !