তপ্ত দুপুরের বিষণ্ণতা কাটিয়ে একবিন্দু জলকণা হয়ে,
আমি ঝরে পড়েছিলাম তোমর ওষ্ঠদেশে!
তোমার লাল-গোলাপি চিবুক আমার সবটুকু শুষে নিয়ে,
গোলাপের পাপড়ির মতো পরতে পরতে নিজেকে খুলে দিয়েছিলো খুব করে ভালোবেসে!
আমি বৈকল্যের বোঁচকা খুলে এক এক করে কুড়িয়ে নিয়েছি :---
তোমার নিশ্বাস, বিশ্বাস, আশ্বাসের শরীরী উম ভালোবাসা!
আর প্রত্যুত্তরে এক-কাট্রা জমিনে একটা নিশ্চল দেহকে দিয়েছি :---
বাড়িয়ে। -- আর মনের আনন্দে খেলি গেছি এক্কাদোক্কা!
তোমর নিশ-পিশ করে ওঠা প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্দরে অন্দরে,
তারপর আস্তে আস্তে ঢেলে গেছি গুপ্ত কামনার সুপ্ত অধিবিষ!
আর জ্বালিয়ে দিয়েছি যৌবনের জৌলুসের সদ্য ফোঁটা কুঁড়িটিকে!
তুমি শ্রাবণধারার মতো অঝরে ঝরে গেছো আমার কলমের গৈরিশে!
আমি তখনও সুগন্ধি সাবানের মাখো মাখো গন্ধে উন্মাদ হয়ে,
বারেবার ওষ্ঠ, চিবুক, বক্ষ হতে নেমে এসেছি জঠর-জরায়ুতে!
তুমি ক্লান্ত, বিবাগী, অপলক দৃষ্টিতে হাতে হাত দিয়ে,
সংযমে লিপ্ত হয়ে ঢাকতে চেয়েছো তিমির আঁধারে কালপেঁচার তৃষ্ণাকে!
কিন্তু বিশ্বাস করো, -- আমি ব্যর্থ হয়েছি তোমার এই স্বার্থহীন ভালোবাসার কাছে!
বঁইচি বৃন্তে শুধুই কামুক আঁচড় দিয়ে খুঁজে ফিরেছি,
তোমার আলিঙ্গন, স্নেহ চুম্বন আর শরীরী লিপলক! -- পাছে,
কিছু ভুলের ছলে ভুল হয়ে যায়! -- তাই মুখের আড়ালে মুখোশ দিয়েছি!
আর যা নিয়েছি, - সে তো শুধুই শিল্প! -- তাই তো শিল্পীর মতো,
নিপুণ হাতে রচে গেছি;-- সেই নষ্ট রাতের ইতিকথা-র গল্প!
শাশ্বত প্রেম যে আজ ধ্রুব তারা! -- ভালোবাসা সে তো শুধুই বূকে জমানো ক্ষত!
তাই বিশ্বাস হোক বা না হোক, -- এই নীরবও পৃথিবী জানে, - 'সংযম একটি শিল্প!'