ঘন অন্ধকার, - মায়াবী কালো আঁধার রাতে,
নরম বিছানায় এলিয়ে দেওয়া দুটো নগ্ন দেহ,
তীক্ষ্ণ আলপিনের মতোই কৃষ্ণ চতুর্দশীর চাঁদ,
আলোক রেখা পথে হেঁটে চলা গুঁড়ো সন্দেহ।
প্রতিটা রাত যে আমি একলাই জেগে থাকি,
পেঁচার মতো আমার চোখ দুটোও রাত জাগে।
স্বপ্নেরা শুধু বৃষ্টি স্নাত হয়ে কাক ভেজা হয়।
জানালার ধারে একাকীত্বের ইজেলে বসে,
অভিমানে সে ধরে রাখে এক মুঠো অন্ধকার।
অক্টোপাসের থাবায়! - একরাশ নিঃসঙ্গতার
শারিরীক ভাষা সব যেন তার পড়া হয়ে গেছে।
আকাশ খসে ঝরে পড়ছিল এক ঝাঁক তারা,
চোখের পাতা ছিঁড়ে আমি সযত্নে রেখেছিলাম,
তোমার ওই মুষ্ঠিবদ্ধ নরম হাতের পাতায়।
উষ্ণ আলিঙ্গনে খুব সাধ করে বলেছিলাম,
আজ আবার নাহয় এক পশলা বৃষ্টি আসুক।
না-হয় আজ রাতেই হে প্রজাপতি ঋষি,
আপনি আবার আমাদের মুখ ঢাকুন !
আজ না-হয় নিভে যাক পৃথিবীর সমস্ত দীপ,
শুধু জেগে থাক দুটো "ক্ষুধার্থ জিভ" !
উষ্ণতায় ছুঁয়ে যাক গোলাপি ঠোঁটের পলেস্তরা।
শরীর ক্রমশঃ নিথর থেকে হয়ে যাক নিষ্কলুষ।
ভাঙা পাঁজর জুড়ে যে নৈসর্গিক উথাল পাতাল,
ঠিক যেন সফেন সমুদ্রের এক অতিকায় ঢেউ!
ঘাম হয়ে ঝরে পড়ুক আজ তোমার শষ্পমুলে ।
আঙুলের ডগায় এবার জন্ম নিক সরীসৃপ।
বুকের উপর হেঁটে চলুক এদিক থেকে ওদিক।
তোমাকে না পাওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি আছে;
অর্বাচীন, পেয়ে গেলে তো শুধুই অবহেলা,
আর ধীরে ধীরে অভিযোগ জমতে দেওয়া।