বহু পুরনো, ধুলো পড়া পান্ডুলিপির পশরা সাজিয়ে,
নন্দিনী, আজ আবার তোমায় অঞ্জলি দিলাম, -- অশ্রু বিগলনে!
জীবনের চাওয়া-পাওয়ার হিসেবগুলো আজ যখন গভীর সংকটে প্রকট হয়ে,
নিরালায় ঝড় তোলে, আমার শান্ত-শীতল গহীন মনে!
তখন সমস্ত পৃথিবী একদিকে, আর একদিকে শুধু তুমি!
বনলতা, নীরা, আজ যখন কবিতার ঘুম-ঘোরে, আমাকে জাপটে ধরে,
প্রশ্ন করে, - " হে প্রিয়তম, তবে ভালোবাসা কারে কয় ? "
দু-আঙুলের ফাঁকে 'মানুষীর মনুষ্যত্ব' তখন কৃত্রিম জোনাকি হয়ে,
লাল শিখাই জ্বলে উঠে উত্তর দেয়,- " তবে একি ভালোবাসা নয় ? "
শুধুই কি নগ্নতা, যান্ত্রিকতা, ব্যস্ততা, কিংবা দেহ ভোগের পুণ্যভূমি !
জানো নন্দিনী, সোডিয়ামের ক্ষীণ আলো, যখন মুছে দেয় সমস্ত কালো!
তখন শুধুই এক কোণ আলেয়া হয়ে বলতে ইচ্ছে হয়, - " শুধু তোমাকেই চাই ! "
দিনের শেষে, শেষ হাসিটি হেসে, -- একফালি জ্বলন্ত সূর্য,
যখন সমস্ত পৃথিবীর গ্লানি, লাঞ্ছনা, প্রবঞ্চনা বুকে নিয়ে পাখিদের নীড়ে ফিরে যায়!
তখনও একটা সন্ধ্যা তারা হয়ে, কালের ক্ষয়ে আমি গগণ চুমি!
এই বুঝি তোমার ভাঙা-গড়ার খেলা শেষ! আর তুমি শুধু আমার হবে,
হোক না সেটা রাজনন্দিনী, রবিনন্দিনী, কিংবা সুকান্তর নন্দিনীর বেশ!
তবুও তো চাতকের মতো একবুক তৃষ্ণা নিয়ে, হে গর্জনশীল ষোড়শী,
তোমার আলতো ছোঁয়া পাবো! -- পাবো একটা সীমাহীন ভালোবাসার স্বপ্নের দেশ!
সেখানে নাহয় ভালোবাসার জাল বুনে তোমাকে আটকে রেখে আমি,
বারবার বলে উঠবো, " তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, শুধু তোমাকেই চাই ! "