অনাবৃত স্তন, হিম-শীতল নাভি নিতম্ব,
নিতল জরায়ুর প্রাঙ্গণ চিরে চুঁইয়ে পড়া কিছুটা সিমেন মিশ্রিত সিরাম
একটা অভিশপ্ত নির্জন রাত আর সোডিয়ামের বেশকিছু টিমটিমে আলো,
সংযমে ক্লান্ত-বিহ্বল একটা অসহায় নারীর অর্থহীন আর্তনাদ অবিরাম!
টেরিকাটা কয়েকটা অর্বাচীন মুখ, সিগারেটের বেশ কিছুটা ধোঁয়া,
সুরা পাত্রের ঠুংঠাং আওয়াজ আর কাল-পেঁচার তিমির নীরবতা,
রাজপথের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার বছরের পুরনো বটবৃক্ষ,
সাক্ষী হয়েছে শুধু! নিমিত্তে হারিয়েছে চিত্তের সজীবতা,
জোনাকি, ঝিঁঝি পোকার দল নিশ্চুপ হয়ে দেখেছে নারী ধর্ষণের ইতিকথা,
চোখহীন দুটো জল-ফড়িং দেখেছিলো পুরুষ কতটা বর্বর!
নীল আকাশের বুকে জেগে থাকা একফালি বাঁকা চাঁদও লজ্জায়,
মেঘের চাদরে মুখ ঢেকে বলেছিলো, " হে পুরুষ তোমরা বড়ই স্বার্থপর ! "
তারপর একদিন কালের ক্ষয়ে ধুমকেতুর মতো জ্বলে উঠবে কিছু নারী,
রক্ত-বীর্য মাখা থেতলে যাওয়া কিছু পুরুষাঙ্গ হাতে নিয়ে,
প্রতিবাদে গর্জে ওঠে, দোদমা ফাটাবে নগরের রাজপথে,
নেতা থেকে মন্ত্রী, ধনী থেকে দরিদ্র, রাজা থেকে প্রজা ভয়ার্ত চোখ দিয়ে
লজ্জার লেলিহান শিখা জ্বলে ওঠে, নত মস্তকে চেয়ে দেখবে,
নিজ নিজ পুরুষাঙ্গে, কিছু অতৃপ্তির বিষাক্ত নিশ্বাস,
অনাবৃত স্তন, হিম-শীতল নাভি নিতম্ব, জরায়ুর প্রাঙ্গণ ছিঁড়ে,
যখন মিছিলে সামিল হাতে চাইবে, অন্তরে চাইবে আরও কিছু সহবাস,
আমি এক এক করে তখন তারাবাতি দিয়ে ওদের মুখ পুড়িয়ে,
দেখাবো রক্তাক্ত কামুক পুরুষাঙ্গের অভিনব প্রতিফলন,
আর তারপর থেকেই ওরা নারীকে মা বলে স্বীকার করে,
আগুনের বিছানায় সকল অবৈধ কামনাদের বিসর্জন দিয়ে করবে অশ্রু-বিগলন
আমি নাহয় তখন ওই বটবৃক্ষের মতো হাজার বছরের সাক্ষী হয়ে,
জোনাকি কিংবা ঝিঁঝি পোকায় মতো সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ডাক দিয়ে,
নারীকে মাতৃরূপে দেখে, পুরুষকে পুরুষের জায়গায় রেখে,
আরও একবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠবো !