মেহগনির কালচে-বিবর্ণ ঝরে পড়া একটুকরো শুকনো পাতা,
বিন্দু-বিন্দু শিশিরে-ই সিক্ত যেন তার সকল শরীরী উন্মাদনা!
প্রফুল্ল মন, বয়সী চোখ, ছা-পোষা জীবনের বিড়ম্বনা,
অজ-বীথির চক্রব্যূহে, নিরাকার, নিশ্চল দেহে, তবুও শুধুই উত্তেজনা!
রাত ক্রমশ গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে যায়,
নিভু-নিভু প্রদীপ শিখারা তখনও শুধুই নিরালায় হিজিবিজি স্থূল-ভাবনায়,
বৈকল্যের বোঁচকা খুলে বিলিয়ে দেয় যৌবন সুধা,
ঠিক যেমনটি এই মহা-ভারতে বিলিয়ে দিয়েছিলো কলঙ্কিনী রাধা!
ঠিক তেমনই এক মোরক-ফুলে আগুন লাগা বসন্ত-সন্ধ্যায়,
আমি অঞ্জনাকে একটিবার মাত্র দেখেছিলাম খোঁপা ভর্তি রজনীগন্ধায়!
পবনের ঊর্জ-স্বলে, ছিন্ন-শতমুলী, জন্ম দিয়েছিল একটি ভ্রুণ!
কালচে-বিবর্ণ মেহগনি-পাতা জুড়ে আজ সেই রক্তে-রাঙা রাম-রাবণের খুন!
প্রতিটা পলে-পলে জানান দেয় ঘর-শত্রু বিভীষণের পুনরাবৃত্তি!
কিংবা মর্মাহত, বিষণ্ণ, যান্ত্রিক, কঠোর, বাস্তব, জীবনের অতীত-স্মৃতি!
শুধু ভোলার ছলে ভুলে যাই নিদারুণ বাস্তবতা,
তাই জীবন্ত-ফসিলে জ্বলে ওঠা আমি এক শুকনো মেহগনি-পাতা!