প্রেমিকাছায়া ও পরমেশ্বর


তোমার কাছে একটু জ্বরছোঁয়া চেয়েছিলাম,
একটু আগুন সজ্জা
দেশলাই কাঠির বারূদগন্ধ নয়,
হঠাৎ কানে ভাসে ঘটি চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ আর্তনাদ
তোমার জিহ্বার পুরো শরীর জুড়ে
জ্বলতে দেখেছি,
একমুঠো ভিসুভিয়াস স্ফুলিঙ্গ
কখনো দেখেছি তোমার পদ্ম নাভিতে,
জ্বলছে পরিযায়ী রক্তের বাঁচার ইচ্ছেগুলো,
আমি অসহায় নটরাজ
নৃত্যের তাল খুঁজি প্রভাতী সূর্য মন্ত্রে।
গিজগিজ করছে সূঁচের আগায় কিছু নাস্তিক আলোচনা
ভাঙ্গা মাটির দেওয়ালের শুকনো পাকস্থলীতে
অভ্যুক্ত প্রাণগুলির শব্দহীন ভ্রূণ কান্না
তৃষ্ণার্ত কুয়োর গভীরেও খুঁজেছি তোমাকে
যদি শুনতে পাও ওই আর্তনাদ প্রতিধ্বনির জন্ম ও মৃত্যু,
যদি কল্পবৃষ্টি নামাও
যদি ভিজিয়ে দাও পৃথিবীর রুক্ষ চুলের সৌন্দর্য্য
আমি দেখবো হৃদয় মানচিত্রের উত্তাল সীমানার প্রহরী হয়ে,
তোমার অপেক্ষায় আঙ্গুলের কর গোনা শুরু করেছি,
ক্লান্ত শরীরের ছাউনি তলে
তবুও তুমি আসোনি
আজ ও   আসোনি।
আজো না।


আমার নিষ্পলক প্রেমিকাছায়া
আমার অভ্যুক্ত পরমেশ্বর।


লেখা - ধীমান দাস
         বালুরঘাট
          ২১/০১/২০২২
         সময়- ১২টা৫১ রাত্রি