সুদীর্ঘ প্রতিক্ষিত বৈশাখ সদ্য গৃহদ্বারে দন্ডায়মান;
যেন পূর্ণ অবলোকনে ক্ষনকাল কুন্ঠিত হয়ে,
নিজ অন্তরস্থিত গোপন কথাটি ব্যক্ত করছে-


হে! বঙ্গভূমির বীর সন্তানেরা,পূর্বের লাঞ্ছিত-অপমানিত-ক্লেশদায়ক স্মৃতি সমুহের আচ্ছাদন
মুছে দাও,স্মৃতির অন্তরাল হতে;
তাম্রতপ্ত রঙে রঙিন হয়ে স্মৃতির অমলিন
স্বর্ণচাদরখানি জড়িয়ে নাও নবরূপে।


সম্মুখে দেখ,কত আনন্দঘন মুহূর্ত!
কেবলই তোমার অপেক্ষারত।
বরণ করে নাও,স্বাদরে-
মনের সকল গ্লানি দূর করে।


রৌদ্রতপ্ত উষ্ণ বাতাসে যখন তোমার
চারপাশ হবে আন্দোলিত,ক্ষণকাল
অপেক্ষায় থেকো;
নিমন্ত্রিত কালবৈশাখীর রুদ্ররূপি শীতল বাতাস
ছিন্ন করে দেবে,দেহ-মনের উষ্ণ আচ্ছাদন।


আম-কাঁঠালের সুমিষ্ট সুবাসিত বাতাসের আলিঙ্গনে
মন ভরে উঠবে অসীম তৃপ্ততায়!
শাখে-শাখে পুষ্প রাশির রূপ-রস-গন্ধ মাধুর্য্যে
জাগ্রত হোক তোমার স্পর্শকাতর অনুভূতি!


বিশ্বের অসীম সৌন্দর্য্যে,
বিলীন করে দাও নিজেকে;
কিসের দুঃখ! কিসের দৈন্য! কিসের ক্লেশ!
চূর্ণ করে দাও সকল অহংকার,
সকল বিদ্বেষ।