সুখ যে মোদের সকলেরই কাম্য,অনন্ত চিন্তন;
জ্ঞানে বা অজ্ঞানে করে চলেছি তারই অন্বেষণ।


বাল্যকালে মাতৃক্রোড়ে ছিলেম যখন শিশু,
সুখ যে তখন ধাবিত ছিল মোদের পিছু-পিছু।


দিনগুলি সব কেমন মজার! ছিল স্বপ্নেরই মতো,
পাওয়া যেখানে অধিক,চাওয়া কেবলই সীমিত।


সেই চাওয়াই ক্রমশ বেড়ে আজ যখনই তুঙ্গে,
দুঃখের সঙ্গে হল সাক্ষাৎ,বিচ্ছেদ সুখের সঙ্গে।


যখনই স্বীয় বাসনা সহিত ঘটছে ইন্দ্রিয়ের সংযোগ,
তখনই স্বল্প সুখানুভবে বাড়ছে কামনা-বাসনা-ভোগ।


সুকোমল সজ্জায় শায়িত কেহ কাটাচ্ছে বিনিদ্র রজনী
মৃত্তিকা শয্যায় কাহারও পরে সুখের নিদ্রা নিশানী।


শাকান্ন ভোজনে দিনান্তে কেউবা পাচ্ছে পরম তৃপ্তি,
বিবিধ আহারান্তে কেউবা পাচ্ছে চরম অতৃপ্তি।


তৃপ্তি-অতৃপ্তি যাহা সকলই মানুষেরই ভাব-মনোবৃওি
যাহা প্রতিরূপে সুখ-দুঃখ, মানুষেরই সৃষ্টি।


তাই তো বলি মন রে তুই যদি হতে চাস শান্তি পিয়াসী,
সাদরে গ্রহণ করবি রে তুই সকল প্রকার প্রাপ্তি।


ভুলবি রে তুই অতৃপ্তি যাহা ছিল রে তোর জীবনে,
প্রাপ্তি যাহা দান ঈশ্বরের ভাববি ক্ষণে-ক্ষণে।


অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি যখনই করবি স্বেচ্ছায় বরণ,
অশান্তির অনল হবে নিধান,ছড়াবে শান্তির কিরণ।