বীরমাতা তুমি!
     নহো অতি সাধারণ রমনী।
ক্ষুধিত পাষাণ-
     যে বক্ষে প্রতিধ্বনিত,
শতকোটি মানবের
      নিদারুণ  ক্রন্দনধ্বনি।
তব সন্তানসম মানবের
      ক্রন্দন  রুধিতে,
করিলে সমর্পিত
      স্বীয় কলিজারে;
স্বীয় সুখ বিভাগিয়া
      অন্তরস্থে সমর্পিলে,
শতকোটি
      মানবের মাঝারে।


বীরমাতা তুমি!
      নহো অতি সাধারণ  রমনী।
ধরিত্রীমাতার প্রতি,
      যত লাঞ্ছনা-ক্লেশ;
বিদ্ধ ছিল
      তোমা বক্ষে
আজও বেঁচে
      তার বেশ-কিছু রেশ।
আজও স্বীয় অন্তঃকরণ
      কঠোর হস্তে রুধিয়া;
সন্তানেরে দাও বিদায়,
বাক্যশক্তির স্ফুলিঙ্গে
           প্রজ্জ্বলিত করিয়া;


রহো একাকী নির্মল স্নেহালয়ে
        আঁখিকোণে জয়ের প্রবোধ মাখিয়া।


            ________