তাই তো কথা ছিল ব্ন্ধু,
একসাথে হেঁটে যাবো নীল সমুদ্রের ওপারে,
আমাজনের গহীন অরণ্যে লুকোচুরি খেলব দুজনে l
অথচ তুমি শৈশব পেরিয়ে কৈশোর ছাড়িয়ে স্বয়ং সংসারি,
কতো রাত জেগে কাটিয়েছি চাঁদের আলোয়,
তোমার মনের কোনের বেদনার আগুনেই তো সেদিন আমাকে পোড়ালে,
তবে কিসের নেশায় বেছে নিলে মানুষের মুখোশ?
আমাদের তো আকাশের নীলাভ মেঘেদের থেকে আলো ছিনিয়ে আনার কথা ছিল l
বাবুদের মুখের গ্রাস কেড়ে ফুটপাতে বিলিয়ে দেওয়ার কথা ছিল দুমুঠো ভাত l
তাই তো কথা ছিল ব্ন্ধু,
বুকের মাঝে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন নেভেনি আজও l
তাকিয়ে দেখো নাবালক শ্রমিকটির মুখের দিকে
পেটের ভেতরটা মোচড় দেয় অবিরাম,
বিধবা বিধস্ত মায়ের ছেঁড়া শাড়ির
সেলাইয়ে বিঁধেছি বারংবার দুজনে l
লাল আলোর বিকেলকে পেছনে ফেলে একবার ছুটে এসো l
কথা রাখো ব্ন্ধু l
শেষবারের মতো মাটির দিকে তাকাও,
একটু জল চাইছে মা l
চোখের জলে বালিশ না ভিজিয়ে স্বপ্নের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দেব প্রান l
তাই তো কথা ছিল ব্ন্ধু l