শীর্ণ শরীরের শিরায় শিরায় জমেছে রক্ত নামক বিষের তরল l
কানের পর্দা ফেটে তীব্র আর্তনাদে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া রাতের ঘামমাখা বিছানায় শুয়ে একা আমি l
তখন তুমি অনেক দূরে...........
গাছের আড়ালে বিকেলের শেষ আলোর মতো উঁকি মারে আমার ক্লান্ত স্বপ্নেরা l
ঘাম মুছে সমুদ্রের উপর আবার বিছানা সাজিয়ে হারিয়ে গেলাম কামাতুর কল্পনার ভিড়ে l
কয়েকমাস আগেই গলির মরুভূমিতে পুড়িয়ে ছিলে আমাকে,
আজ সাপের মতো জড়িয়ে আছে তোমার অনুভূতিরা l
মাথায় কে যেন হাত বুলিয়ে বারবার কানের কুঠুরিতে ফিসফিস করে বলে ওঠে, 'আমাকে ছুঁয়ে দেখো তোমার ঠোঁটের সামনেই তো আমার খোলা পিঠ' l
অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরি,
আবার ঘুম ভাঙতেই পাশবালিশ ভিজে যায় l
তুমি হারিয়ে যাও পুরনো ইতিহাসের মতো.......
তবুও মোছে না তোমার প্রথম চুম্বন l
একটা একটা রাত্রি পেরিয়ে এগিয়ে যায় গাঢ়ত্বের দিকে l
ঝড় ওঠে কালবৈশাখীর মতো
সুনামি আসে শরীরের আনাচেকানাচে l
তবুও অন্ধকার চোখ জুড়ে,
নারকেল গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী,
লজ্জাবতীর মতো এসে একবার ছুঁয়ে দাও তোমার প্রিয় প্রাক্তন পুরুষটাকে l
দেখো স্বপ্নের ছোট্ট নদীগুলো মেশাতে পারি কিনা সমুদ্রের অথৈ জলে?
এখন যে খণ্ডগ্রাসে তোমার রোমশ শরীর উদাসীন লাট্টুর মতো ঘুরপাক খাচ্ছে,
একদিন তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে শুধু আমারই অধিকার ছিল l
সৌখিনতার মায়াজালে আঙ্গুল ছুঁয়ে বলতে,
'তুমি শুধুই আমার' l
তাকালামাকানের চেয়েও অনেক বেশি উষ্ণতা পাবে পুরনো চেনা শরীরে l
রাত্রে একবার ভাসিয়ে দাও সত্যিকারের মায়াবিনী জাদুতে আমাকে l
ফিরে যায় কিনা দেখো তোমার কামনার দুঃখ,
শৃঙ্গার ওপরে উঠে দেখো নেভাতে পারি কিনা তোমার তৃষ্ণা?
বিছানা নরম করে শুতে তুমি ভালবাসো,
তাই সমুদ্রে পেতেছি শয্যা l
গন্ধে তোমার শিহরণ ভালো লাগে, জুঁই ফুলের ডালি সাজিয়েছি চাদরে l
অথচ তুমি কৃত্রিমতা নিয়ে সুখী হতে চাও l
মোমবাতির আলো খুঁজছো বাল্বের আশেপাশে,
উষ্ণতা পাবে হয়তো আগের মতোই,
তবে কখনও ফিরে পাবেনা সেদিনের লোডশেডিং l
কখনও দেখবে না শরীরের ঝর্ণা l
বাথটবে শুয়ে আর যায় খোঁজো,
মিলবে না আগের মতো কামনার ঢেউ l
মরুভূমিতে যতই হাঁপাও,
জামাটা খুলে আর কেউ আড়াল করবে না রৌদ্র l
আমি হয়তো আবার ঘুমিয়ে পড়ব পাশবালিশের বাস্তব রাত্রিতে l
তোমার চিত্কারে কাঁদব স্বপ্নের খোঁজে l
তুমি হাজার সুগন্ধি মেখেও খুঁজে পাবে না,
আমার ভেজা শরীরের ঘামের গন্ধ l