ভালোবেসে দিয়েছিনু তোমায় একটা বই ,
বইয়ের ভিতর ছিল আমার হাতের সই ।
বইটা তোমায় আমি, দিয়ে ছিলাম যবে,
ভেবেছিনু বইটা পেয়ে তুমি খুশি হবে।
বইটা তখন নিয়ে ছিলে তুমি দু’হাতে ধরে,
বইটার উপর মলাটখানা দেখলে নয়ন ভরে।


রাত্রে পড়ে ছিলে হয়তো গিয়ে শোবার ঘরে,
কোন দাগ কি কেটেছিল, তোমার অন্তরে ?
হয়তো বা রেখেছিলে সো’কেচের এক কোনে,
জানিনাতো বইটি পড়ার সময় ছিল মনে!
ভেবেছিলাম, ঐ বইটির দাতা হলাম আমি,
দাতার মূল্য দানের চেয়ে অনেক বেশী দামী।


দান করে দানের স্মৃতি মনে রাখতে নাই,
জল দান করে নদী অনেক তৃপ্তি পায়।
তরু শাখা হতে ফল যখন খসে পরে
ফিরে কভু আসেনা আর নিজ শাখা ‘পরে।
দুগ্ধ দান করে গাভী নিজের স্তন হতে,
পারে কি আর সে দুগ্ধ ফিরাইয়া নিতে ?


পরার্থে দান দিতে যারা জানে এ সংসারে
এমন করেই তারা নিজের সব দিতে পারে।
দাতা হরিশ চন্দ্র ছিলেন শ্রেষ্ট দানবীর,
দান করে যেতেন তিনি লক্ষ ছিল স্থির।
মহাভারতের বীর কর্ণ, দাতা যার নাম
রক্ষাকবচ দান করে সে হয়েছে মহান।


দিতে যারা জানে তারা  হিসাব রাখেনা,
জগত থেকে শিখে তারা অন্যে শিখে না।
পাবার যারা তারাই জানে বুকের রত্নহারে,
হৃদয় চিড়ে মণিটাকে ক’জন দিতে পারে।
সহজে যা পাওয়া যাবে তার মূল্য নাই,
দাতার কাছে অসীম মূল্য, দান করিয়া যায়।


যা কিছু মোর ছিল সম্বল তোমায় দিলাম প্রিয়ে!
মনের ভিতর দামী জিনিষ এই মনটাকে নিয়ে।
দিলাম তোমায়, ধন্য হবো যদি মূল্য দিয়ে,
গ্রহণ করেই করবে দামী আপন হৃদয় দিয়ে।।