সকালবেলা দিদি করতো সাত ভাই বোনের ভাগ,
বেশ কম হলে মায়ের তখন উঠতো বিষম রাগ।
ভয় পেয়ে সব ভাই-বোনেরা ছুটে দিতাম দৌড় ,
আড়াল থেকে দেখে নিতাম মায়ের  রাগের জোর।


সারাজীবন খুঁজেছি আমি রাগের উৎস  কি ?
রাগলে পরে কেমন দেখায় একটু  ভেবে নিই।
সিংহ রাগে কেশর নাড়ে, বাঘ নাড়ে তার লেজ ,
বনের মাঝে শ্রেষ্ঠ তারা, দেখায় তাদের তেজ ।

ঘোড়া  রাগলে পেছনের দু’পা ছুড়ে মারে ,
রাগলে গরু শিংয়ের গুতোয় মেদিনী ফাঁক করে ।
রাগলে পরে বনের বানর  চেঁচাই কুক কুক ,
শিম্পাঞ্জি রাগলে পরে চাপড়ে  ফাটাই বুক ।


নার্ভের উপর আঘাত দিলে ব্রেইনে ব্যথা হয় ,
উত্তেজনার সৃষ্টি হলে  রাগের জন্ম হয়  ।
রাগ হলো এমন জিনিস বোঝার সাধ্য নাই ,
প্রবাদ আছে পুরুষ রাগে বাদশা হয়ে যায় ।


রাগ যদি হয় দুই নারীতে হুশ-জ্ঞান  না থাকে ,
চুলাচুলি করে আর দেয় খিস্তি যা আসে মুখে ।
পুরুষরূপী নরপশু, নিজ শক্তি প্রমান করে ,
রাগের চোটে অবলাকে সে  পশুর মত মারে ।


দাম্পত্য জীবনে সদা রাগ করিতে বারণ ,
সুখের সংসার ভেঙ্গে যায় শধু রাগের কারণ ।
অভিযোগে রাগ করিলে রাগ ভাঙ্গানো ভার ,
মমতা মাখানো রাগ থাকে একমাত্র মা’র ।


মায়ের রাগের ভিতরে মমতা লুকিয়ে থাকে,
যেমন থাকে  রামধনুর রঙ ঐ আকাশের বুকে!
মায়ের রাগ আচমকা  ধুমকেতুর মতো আসে,
আবার পরক্ষণে  যায় মিলিয়ে মনের আকাশে!


মায়ের চেয়ে অতি আপন ভুবনে না মিলে ,
এমন রাগী মাকে যেন কেউ, কভু না ভুলে ।