আঁখি ছলো ছলো মুখ ঢলো ঢলো
নয়নে বারির ধারা ,
মতৃ বক্ষে শয়নে শিশু
ডাকিলে তাকে দেয় না সাড়া ।


কন্ঠ জরিয়া কাঁদিছে শিশু
ডাকিছে ব্যকুল হইয়া ,
মাতার কন্ঠ নীরব হইয়াছে
নাই সেতো আর বাঁচিয়া ।


শিশুর পিতা নিয়েছে তুলিয়া
তবু বাধেনা আঁখির ধারা্ ,
শিশুর কাছে মাতারাই প্রধান
হয়েছে সে আজ মাতৃ হারা ।


অবোধ শিশু বুজছে কি আজ ,
মরণ কাকে বলে !
হারিয়ে গেছে মা যে তার
তুলবে না আর কোলে ।


পদ্মের মতো আঁখি দুটি তার
নীরব হয়ছে আজকে
পা ,পা করে যায় সে চলে
শয়নে মাতৃ বক্ষে।


ডাকছে মাকে মা মা বলে
আঁখি খোলো মাগো তুমি ?
চেয়ে দেখো মাগো
ব্যাকুল হয়ে ডাকছি যে কতো আমি ।


রাত্রি নামিলে মাতার পাশে
শিশু শয়নে যায় নিন্দ্রা ,
প্রভাত হলে মাতার কোলে
ভেঙে যায় তার তন্দ্রা ।


আজকে শিশুর মতৃ হীনের
দুঃখ যে আছে বক্ষে ,
তিমির রাত্রে কাঁদছে সে আজ
জল ভরা দুটি চক্ষে !