“অভিমানী প্রকৃতি”


বিশ্ব মানব সৃষ্টির মহা-কল্লোলে, উন্মাদ উচ্ছ্বাসে দর্পহারী
বিষাক্ত ধরণীর ধূলিকণা যত ,বুকে নিয়ে আমি ঘুরি।
দূষণে দূষণে পিষছে মোরে, বৃক্ষে মারছে ছুরি
ধোঁয়ার কুণ্ডলে কুণ্ডলী পাকিয়ে বিশ্বকে করছে আগ্নেয়গিরি।


মিসাইল, হাইড্রোজেন, পরমাণু বারুদের স্তূপে ভর করে
কুজ্ঝটিকার ঘোমটা দিয়ে অচেতনে কণ্ঠে রেখেছ বিষ ধরে।
অট্টালিকার পাহাড় তুলে পর্দার আড়ালে নিষ্ঠুরতার অট্টহাসি
স্বার্থন্বেসি বিশ্ব মানব বিলাস-মত্তার অজান্তে পাতছে ফাঁসি।


বক্ষে আমার অব্যক্ত যন্ত্রণা, জাহ্নবীর বুকে যত আবর্জনা
কবে হবে ভ্রুকুটি ভঙ্গ বিশ্ব মানবে ?এত কেন বঞ্চনা ?
চিন্তা আমার তন্দ্রা-হারা নিশি ঊষার দ্বারে
করছে ছোট বিশ্বটাকে, টানছে নিজের ঘরে।


আমি প্রকৃতি নেই হেমন্ত, নেই শীত ,নেই বসন্ত
অতি মানুষের সভ্যতার ভরে হয়েছি আজ বড়ই ক্লান্ত ।
ধূমকেতু রূপে মরুপ্রাণে এলো প্রাণ আনন্দ অশ্রু ভরি


কোভিড হল সেই কেতু যার নিসর্গ জন্ম দাতা।
অভিমানে রুষে করি, কেঁদে ওঠে প্রাণ মনে পাই ব্যথা !
পীড়ন করেছ যারে ,পীড়ন এসে পরে ,মহাশক্তি ধরে।
সে বুঝি  বুঝেছে  অতি মানুষে ?গৃহবন্দী মাস্ক পরে।


উৎপীড়িতের ক্রন্দন কণ্ঠে প্রাণক্ষয় দাহ অনুভব করি
নিষ্ঠুরতার  পরিযায়ী ক্রন্দন বিশ্বমানবকে করেছে ছায়া পুরী ।
রৌদ্র-দাহ উচ্চ টাওয়ার অঙ্গে দিয়েছে কষ্ট ! ক্ষণেক কষ্ট কর,
অমাবস্যার দ্বারে নতুন ভোরে আসবে আলো একটু ধৈর্য ধর ।


অক্সিজেনে ভেসে গিয়ে থাকো এবার দূষণ থেকে দুরে
ধরণীর কোলে প্রকৃতি দোলে, ধরণী ছারা বাঁচি কি করে ?