আসলে তো জানলাটা একটাই
দু'দিকের চোখ দেখে দুইপাশ থেকে
দৃষ্টি পরখ করে বলে, আছি কিনা নাই।


ফাঁকি আছে,তাই রাখা গরাদের ফাঁক
ভুল করে যদি কেউ চোখ রাখে ভেতরের পানে--
সেই ভেবে একজন ঠায় বসে থাক।


সূর্যটা ভোর ভোর আলো ফেলে কাঁচে
একটি মুখের হাসি ঠিক তক্ষুনি
লাফিয়ে উঠবে ঠিক তুরুক নাচে।


সামনের রাস্তাটি কেবলি একার
কেউ যদি ভালোবেসে আসে
হাতচাঁপা দিয়ে,দায় তার ফাঁক বোজাবার।


স্বেচ্ছায় পরাজয় পেতে আছে সুখ
অকালের রাগ কালো চশমায় ঢেকে
যতোটুকু দেখা যায় সে নয় দেখুক।


ফিকে হয়ে গেলে রঙ
নোনা ধরে দেয়ালের গা'য়
চারদিক থেকে শ্যাওলার দল
হই হই করে ছুটে আসে গোটা পা'য়।


জানলাটা সব জানে,
দু'চোখের কতো পরমায়ু
একজন তুচ্ছতা দিলে
পোড়াগন্ধে তেতে ওঠে ঘরপোড়া বায়ু।


বেলাও গড়িয়ে যায়
রাত চুরি করে খায় দিন
অপমান ভুলে গিয়ে
শেষ যুদ্ধটা সুপ্রাচীন।


হয়তোবা কোনোদিন
জানলাটা খুলবেনা আর
ভেতরে আছি'র বার্তা
ক্রমে পাড়ি দিয়ে পরপার।


আর ঠিক সেইদিন,বাইরের পথেঘাটে
খোঁজাখুঁজি শুরু হবে জানলা গরাদে--


কেউ জানলোনা,জানলাটা ছাড়া
একজোড়া বোজাচোখ খুঁজেছিলো
একজোড়া চোখমেলা আজকের গোবেচারা!
~~ অদিতি চক্রবর্তী