কিছু কি চেয়েছি বলো বিগত কোনও এক বসন্তদিনে?
দুপুর, বিকেল চিনে চিনে
সীমানার নদীগাছ, বাড়িঘর, প্রান্তিকরেখা ?
অতলস্পর্শী একা সবখানে শেষ দেখে
পরিমিতি রেখে রিমঝিম দুকূল ভেসেছি ।
হয়তো অদৃশ্য কোনো বসন্তবাসনা
অস্হির করে তুলেছিল বুকের ঠিক বামদিকটা
তুমুলবাতাসে রাজসিক মেঘে উষ্ণ ছুঁয়েছি
সন্ন্যাস আলো-তাপ-মেঘমল্লার পাতা
অরণ্যভূমির লাল পাহাড়ে উথালপাথাল গোপন
খরস্রোতা চোখ খুইয়েছে -
জ্বলেছে প্রথম আগুন দাউ দাউ পলাশের গায় !
হাওয়ায় ফুলতে থাকা লকলকে শিখার
মতো ষোলোআনা কিনারায় ...!
বুঝিনিতো কোন চোখে কোন রঙ কতখানি গাঢ়
শরীর খুলে ফেলেছিল ধীরে অতি ধীরে স্নায়ু. শিরা, ধমনী
আর ... ও ... আর ... ও
ফুরফুরে চুলের সুগন্ধিতে তুমি তখন
ক্রমশঃ এক শিকার আত্মীকরণে নিমগ্ন !
মনোরম ভগ্নতা বেছে তারপর থেকে আমি
রাতদুপুরের অফুরান, বিকেলের বাণভাসি , কবিতার কৌশল
তোমার আমার অশরীরি ছাপিয়ে পলাশের আগুনে প্রবল ।
কিছু কি চেয়েছি বলো বিগত কোনও এক বসন্তদিনে?
শরীরের ভাগে কথা মুছে ভাষাহীন ফুটে উঠি রঙ এর অধীনে ।