পাগলী তুমি,
অন্ধের দৃষ্টি, বোবার ভাষা, বোধির শোনার অভিলাষ
প্রানের আকুতি, মনের মিনতী, সৃষ্টির মহা ইতিহাস
তুমি বেহুলার ভেলা,আনন্দ মেলা, তুমি স্বর্গের অপ্সরী
প্রিয়সী আমি, পিপাসার্থ মন, তোমার প্রতীক্ষায় মরি।


পাগলী তুমি, অবনীর বুকে যেন একটি গোলাপ ফুল
মোহনীয় সৌরভে মন মুগ্ধতায় আকুল
সমস্ত রূপের শ্রেষ্ঠ বাহার, নেই কোন ভূল
সত্যিই তুমি সদ্য ফোঁটা একটি গোলাপ ফুল।


পাগলী তুমি, ভুবন মোহিনী হাসিতে যেন মেঘেরাও থমকে তাকায়
হীরা-মুক্তা ঝরে পরে প্রতিটি হাসির কনায়
তোমার অভিসার অলৌকিত সিগ্ধতায় এই হৃদয় ছোঁয়ে যায়
অসহায় চিত্ত আমার স্বপ্নীন সন্ধানে বার বার তোমাতে হারায়!


পাগলী তুমি, নদী মাতৃক বাংলার পদ্মার মোহনা
তোমাতেই প্ররিলক্ষীত হয় স্বর্গ সুখের সূচনা
তুমি কক্স বাজারের সমুদ্র সৈকত, তুমি সুন্দরবনের মায়াবী হরিণী
কোহিনূর হীরার রূপ ভান্ডার তুমি, তুমি অনন্ত মায়ার অন্তহীন খনি।


পাগলী তুমি, শত ব্যস্ত তার মাঝে খানিক বিশ্রাম
বান্নান তাসের খেলায় তুমি, টেক্কা-কুড়ির-ট্রাম
যে জনমে ছিলেনা তুমি,সেতো জীবন নয় মরনেরই একাংশ-
তুমি মানব সৃষ্টির লগ্নে,আছো; তুমি সংযোজনে! তুমি থাকবে হয়ে অধাংশ।


পাগলী তুমি, মজনুনের পাগলামী, মাথিনের অপেক্ষা, দেবের হাতে মদের বোতল,
ফারহাদের সামনে বিশাল পাহাড়, হৃদয়ে তাহা কাটার কোলাহল
তুমি শাজাহানের গড়া তাজমহল, চন্ডির হাতে বরশির কাঠি
তুমি প্রেম নগরীর পরশ পাথর, তুমি কাশ্মীরের সোনা ঝরা মাটি।


পাগলী তুমি, অবনীর মাঝে শ্রেষ্ট অভিরাম মায়া
তোমাতে খুজে পাই যেন, ফুটন্ত গোলাপের ছায়া,
প্রেমের মিষ্টি গন্ধে সৌরভিত তুমি
তোমার রূপের রশ্মিতে, আলোকিত নরের হৃদয় ভুমি।


পাগলী তুমি, মেঘলা গগনে ভেসে উঠা নব পূনিমার চাঁদ
মৃদু প্রভঞ্জনে এক সোনালী প্রভাত,
মেদিনীর বুকে, তুমি যে মহা প্রেমের অর্ণব
নিশ্চয় নরের প্রাণ উতলা করো প্রীতি উৎসব।


পাগলী তুমি, নরের বুকে বয়ে চলা এক চঞ্ছলা নদী
পাল তোলা সুখের নাঁয়ের মোহনা অবধি,
সহস্র ক্লান্ত চিত্তে বিলাও শান্তির পরশ
মায়াবী আঁখির দৃষ্টি রেখায় কতো প্রাণ করেছো যে বশ।


পাগলী তুমি, কাংক্ষিত হৃদয়ের খোরাক, ব্যর্থ হৃদয়ের সফলতা
স্বপ্ন ভিবোর দিশাহারা জীবনে আনো হর্ষময় প্রফুল্লতা
ভীতু মনে সাহস যোগাও, দুর্বল মনে বল
তোমার অনুপ্রেরনায় বলীয়ান হচ্ছে সর্ব নরদল।


পাগলী তুমি, অন্ধকার আচ্ছাদিত ভূবনে ছড়াও উজ্বল আলোক রাশি
প্রিয়ার আকুলতায়, গভীর নিশিতে বাজানো তুমি বাঁশরীর হাতের বাঁশি,
তুমি প্রসব বেদনার মৃত্যু যন্ত্রনা শেষে, মায়ের বুকে জড়ানো শিশুর মায়া
হাশর প্রাঙ্গনে, দ্বাদশ রবির বহ্নি জ্বালায়, তুমি আরশের নিচে শান্তির ছায়া।
পাগলী তুমি আমার সর্বকালের সাধনা!