একদিন দুহাত উজাড় করে ভরে দিয়েছো
সবুজ রঙ....
স্তরে স্তরে সাজিয়েছো শান্ত দিগন্তবিতান
লক্ষকোটি প্রাণকে দিয়েছো আশ্রয়
বেঁধেছো স্নেহের সবুজ আঁচলে..
অসীম সম্পদে রচনা করেছো
দীপ্ত প্রাণের সংকল্প ...
শিখিয়েছো অধিকার ..... বাঁচবার।


তারপর একদিন...
নির্জীব সুখের আস্ফালনে
অলঙ্ঘ্য নিয়মের মুন্ডপাত করে
ভোগবাদী মানব ছুটালো তার বিজয়রথ
তোমার শান্ত বুকের উপর দিয়ে...
তোমাকে নগ্ন করে...
নাভীদেশে গেঁথে দিল অহংকারের বিজয়কেতন....
তুমি কাঁদলে...হাসলেওখুব
পরাজয়ের অহংকারে ।


তোমার নাভীদেশে প্রোথিত বিজয়কেতন
উড়ে চলেছে পতপতিয়ে...
লোলুপ বিজ্ঞান অবিরাম ধর্ষণ করছে
তুমি কাঁদছো....
চিৎকার করছো...
দুচোখের জলে নেমে আসছে বন্যা
তৃতীয় নেত্র দিয়ে ঠিকরোচ্ছে আগুন
তোমার আর্তনাদে খসে পড়ছে বাজ
তোমার দুহাতের নখের আঁচড়ে
নেমে আসছে ভূমিধ্বস..
দুপায়ের সঞ্চালনায় জেগে উঠছে
ভূমিকম্প , সুনামী
তোমার নাকের চাপা নিঃশ্বাসে
বয়ে চলেছে অভিশাপ....
তুমি কাঁদছো..হাসছোও খুব
আসন্ন মহাপ্রলয়ের সংকেতে..

তোমার বদলার সংকল্প জেগে থাকবে..
নিষ্ঠুর সভ্যতার ....
আস্ফালনের ধ্বংসস্তূপে ॥