স্ত্রীর সেরিব্রাল অ্যাটাক
চলা-ফেরার শক্তি তার আজ নেই
আগে তার স্টিয়ারিং ধরেই সংসার চিতার গতিতে ছুটত
আজ সে লালগড়ের রয়েল বেঙ্গলের মতই অসহায়।


চোখের বলিরেখায় ভালোবাসার প্রতি এক নিগূঢ় আত্মত্যাগ
হৃদয়ে বজ্র কঠিন পণ,ওকে সুস্থ করতে হবে
কিন্তু এত টাকা! কোথথেকে আসবে ?
খালি হাতে!
না..না...
বিবেকের গালিচায় একরাশ নিস্তব্ধতা
সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে কিছুর বিনিময়ে ভালোবাসাকে ভালো করার
তার অন্তরের নিয়ন আলো থেকে চুয়ে পড়ে কাব্য রসের ধারা
সেই রস পরিবেশন করে বৃদ্ধটা, সোদপুর স্টেশনে
বৈশাখীর তপ্ত রোদে শুষ্ক মনে একটু একটু করে ঢেলে দেন সঞ্জীবনী সুধা
বিনিময়ে যা জুটে তা দিয়েই চিকিৎসা শুশ্রুষা।
আটানব্বই বছরের এক তরতাজা মনের ভিতর
পঁচাশি বছরের স্ত্রীর প্রতি এহেন আত্মিক সম্পর্ক
একবিংশ শতাব্দীর ভালোবাসার মডেল ।