কবির ও কবিতার উষ্ণতা
আল আমিন চৌধুরী স্বপন


কবি, তুমি আমার ভালবাসার শেষ অন্তরা, আচানক্‌ আকাশের ঠিকানায়
তোমার আমার দেখা, তোমার ধ্রুপদী কাব্যের নিঃশব্দ আওয়াজ শুনে
আমি হয়ে যাই মাতুয়ারা।
যখন তোমার কবিতা পড়ি তখন বিমূর্ত ভাবনায় আমি হয়ে যাই তোমার,
নদী ও প্রকৃতির আবগাহনে শুনতে পাই শ্রাবনের গান, তোমার ঐ শব্দের  
মায়া জ্বালে আমি ফেঁসে যাই, তখন আর আমার মধ্যে আমি থাকি না।


আমি তোমার কবিতার মোহ মায়ায় নীজেকে বিষর্জন দিয়েছি,
কবি, তুমি নীরবতা ভেংগে আমাকে কবিতার শুভেচ্ছা জানাও,  
তোমার ঐ লোভনীয় হাতটি ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দিতে, যেন উষ্ণতায়
ভরে উঠে কবিতার চেতনাবোধ।  


হাজার বছর ছুটে এসে এই সবুজ দীগন্তে তোমার আমার দেখা  
নির্বিকার ঘুমিয়ে ছিলেম , সহসা স্বপ্নমগ্ন আবেগের ঘুম ভেংগেছে,
এসো, কাছে এসো, হাসি-মুখে স্পর্শ করো কম্পিত চিবুক, জেগে উঠুক
কবিতার অনুভূতি, ঘন-ঘন নিঃশ্বাসে প্রলয় উঠুক, শব্দের পাইলিং থেকে
পাতা-মাতাল একাকার হয়ে ফুঁপিয়ে উঠুক কবিতার স্বর্গসুখ।  


রঙীন মলাটের গায়ে হাজারও হাতের ছোঁয়া লাগুক, মলাটের ভিতরে-বাহিরে
কবিতার স্বাচ্ছন্দবোধ জেগে উঠুক, যেন না ফুরিয়ে যায় কবিতার আবেদন।  
কবি কথা দাও, কবিতার রিংটোন শুনাবে, শব্দের সন্দেশা দিয়ে
ভুলিয়ে দিবে স্মৃতি পোড়া কষ্ট।


কবি, ভালবাসার রোদ পোহাতে এসো সবুজের দেশে, তোমার আগমনে  
বসবে কবিতার আঁসর, বর্ণমালার ভিতর থেকে বেঁজে উঠুক নৈশব্দের সুর,  
দূর ঠিকানা থেকে শুনি তোমার কবিতার মন্ত্রমুগ্ধ বানী, আর বিমূর্ত
ভাবনায় আমি নীজের মধ্যে খুঁজে পাই তোমারই অন্তর্নিহিত আঁতুর ঘরের
স্নেহাশীষ।


কবি, তুমি নেই, নেই আমি, আছে তোমার চিত্রকল্প কাব্যের অনুভূতি
শব্দের সাথে শব্দের মিশামিশি, কবিতার পাঁজর থেকে পাঁজরে বাঁধা
নাড়ীর টান দীগন্ত বিস্তৃত সবুজ বনানী, শেকড় থেকে শিখরে উঠে আসা
কবিতার অফুরান্ত প্রান।