ভাবনা
আল আমিন স্বপন


আমি ভাবনার দৃষ্টি মেলে কখনও নিজের মধ্যে নিজেই অবাক হারিয়ে যাই
ঋতুচক্রে পৃথিবী রোদ বৃষ্টি বীঁজের ছোঁয়ায় চাষ বাসে মৃত্তিকা ফসল ফলায়
এই মোহ মায়ায় আবেগ জরানো বসুন্ধরা নীল আস্‌মান,অসংখ্য পাহাড় পর্বত,
নদী সাগরে বয়ে চলে নিরবধি, মেঘে মেঘে বৃষ্টি নামে কঠিন মাটির বুক-
ভিঁজে জমে উঠে সবুজের খেলা, কখনো হাসি কখনো কাঁদি নিয়মের খেলায়  
স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলি, চন্দ্র সূর্যের পরমার্তে দিবা রাত্রি আপনারে আপনি খুঁজি,
কেন আমি! কিসের জন্য আমি! আমারে না জানি আমি! ছক্‌ বাধা
জীবনে কেউ যায় কেউ আসে, এত কাছা কাছি যে, তাঁকে সবাই খুঁজি।
বহুদূর থেকে ছুটে আসে সমুদ্র ঢেউ, ধেয়ে আসে কিনারে, মনে হয় প্রতিদিনই
সমূদ্র দেখি নুতন করে।আমি দেখেছি আরো উঁকি দিয়ে পাহাড়ের চূড়া,মনেহয়, এই মাত্র জেগে উঠা শিশিরে ভিঁজা পর্বতের নিরবতা।
মনের বলাকা উঁড়ে মনের গহিনে ভাংগনের পারে গাঙ চিলেরা ডাক
নদী নেই,বাক হারিয়ে মোহনায় ধু ধু বালুর চড়,তৃষ্মার্ত জমিনের বুকফাঁটা কান্না- শুনি, শীতের সকালে রোদ্র পোহাই, চৈত্রের খড়ায় তাপ দাহ করি, আষাঢ়ে ভিঁজে কোমল হই, বৃক্ষের কাছে সবুজ কুড়াই, ফুটে যেখানে স্বপ্নের মুকূল। গুলবাগিচায় উড়ে উড়ে মৌমিতা গুণ্‌ গুণ্‌ রবে কবিতার বুলবুল,উঠানে দাঁড়িয়ে  মুসাফিরের মনপাখি জেগে উঠে বলে, মরার আগে কি ভাবে মরবি? উত্তর একটাই! পাশপোর্ট ভিসা ছাড়া প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশেই যেন মরি।