আমার রিযিকে আঘাত করেছিলো যে শকুন
তাকে আমি খুব ভালো করে চিনি
খুব ভালো করে চিনি তার হাত মুখ নখ
নাক হাঁক ডাক
কারন আমিই গজিয়েছিলাম
সেই সব বিষধর কালসাপ ।
যা নিয়ে খেলি দোলি
আর রঙ তুলি।
বেশ ভালোই লাগে মাঝে মাঝে
মাঝে মাঝে মীর জাফর দেখতে
কল্পনায় কলমি লতা গজাতে
তৈরি করতে জীবনের চালচিত্র।
আমার সরল পথে যে কাঁটা পুতেছিলো
বেশ ভালো করেই চিনি তাকে
যাকে আমি কখনোই পারিনি
ফুল ছাড়া কিছু দিতে ।
ভুল বাক্যে অবশেষে বলেছিলাম নদী হও
নিরবধি বুঝে নেবে কষ্ট ও নষ্টের বিবরণ।
যে ঢেউ ডুবিয়ে ছিলো আমার তরি
সেই ঢেউ আমিই ভালোবেসেছিলাম
এক্কা দোক্কা করে তুলেছিলাম জলের নৃত্য।
কেন জানি ঢেউ ছাড়া জল ও জীবন
কোনটাই কখনো ভালো লাগেনি আমার ।
কত দিন যাইনি সুখাইড় জমিদার বাড়ি
নিরবে টানিনা একটার পর একটা সিগেরেট
ডুবে যাবো ডুবে যাবো বলে ফিরা গাঙ্গের ঢেউ
খাবলে খায় গত জীবন
পালায় ঘুমেরা পালায় স্বাধের মাদকী জীবন।
বিপন্ন হাওরের শন শন বাতাসে আমিও মিশে যাই
সেই সব শকুনের নখরে নগরে
কোন এক অচেনা ধ্বনিতে
চোখ খুলে দেখি এক ঝাঁক অতিথি পাখি
আর কয়েকটা শকুনের ব্যবধানে
সময়ের ছিঁড়ে পতাকা
কতইনা জীবনের আলকাতরায়
কালো হতে হতে আরো কালো হয় ।।
১৪.১০.২০১৭
দুধবহর, সুনামগঞ্জ।