না বুঝেই এক সময় লাফিয়ে যেতাম
এ পাড় থেকে
ও পাড়ে,
এ পাড়া থেকে
ও পাড়ায়।
গলা ছেড়ে চিৎকার করে যোগান দিতাম
আছি মুক্তির পথে !
এ কি ভয়ানক জবানের অস্থির শৈশব।
জানা হতোনা
বরফের গভীরে
কত বরফ
গরমের ভেতর
কত প্রহর!
খোলা চোখ একই তালে গেয়ে যেতো
নদ নদী পাহাড় ঝরণাধারার গান।
উঠন্ত শৈশব
ফুটন্ত ভোরে
পুঁই শাকের মতো নেতিয়ে থাকতো
সবুজ যৌবন।


এক দিন না বুঝেই শ্লোগান দিতাম
মুক্তির মানবতার মন ও মানুষের।
আকাশের মতো বেগ
আবেগের পঞ্চরশ্মি
একি কান্না
প্রেমের বন্যায়
অতিথি পাখির মতো ইনিয়ে বিনিয়ে বলতো
জাগরনের কথা।


আজ বুঝেও
খোলা চোখ সময়ের তাড়নায় চুপ থাকে
নিরবে ছেয়ে থাকে
আবেগ বিবেক
অবচেতনে রুদ্ধ মগজ!
চেতনার সারা লাশ খেয়েছে কবর
পুড়েছে চিতায়।
জীবন্ত আঙ্গিনায় এসো জড়ো হই
এসো মুক্তির গান গাই
জীবনের জয়কারে তুলি মানবতা
কলম কালি বিকশিত বুলিতে ।
প্রতিটা কবি প্রেমে পড়ুক
গভীর প্রেমে
অপেক্ষার দোয়ারে
মগ্ন মননে কাব্য লতা।।
24:12:15
ঢাকা