মনে পড়ে তোমার বাংলা নববর্ষে
যখন বাজবে ধ্বনি
তোমাতে আমাতে হবে
প্রেমের মিলন
তখনি দাজ্বাল এসে যুক্তি দিলো
ইনিয়ে বিনিয়ে ভুল বুঝালো
তারপর কত পথ
কত বার ডেকেছি
কত নগর শহর খুঁজেছি।
মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার
তোমার জন্য আমি হলাম
কত শত্রুর কাছে নগন্য,
কত হীনতায়
একবার ও বলেনি
ব্যথা পাবে তাই।
মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার
দিনকে দিনে মরনের গোরে
গিয়েছি চলে,
আর তুমি নেচেছো
হেসেছো
ময়ুর পেখম তুলে।
মনে পড়ে
পড়ে মনে তোমার
যখন এ বাড়ি ছেড়ে
  ও বাড়ি যেতে
কত কি বুঝাতাম বলে দিতাম
আর দূর থেকে
দোয়া করে দিতাম
যেন সুখে থাকো ।
জানি মনে পড়েনা
মনে পড়ার কথা না।
মনে কি পড়ে তোমার
নিজের পায়ে দাঁড়াতে
কত আকুতি মিনতি করে বলতাম
এটা করো ওটা করো।
মাথায় রাখিনি যেন উঁকুনে না খায়
মাটিতে রাখিনি যেন
আগুনে না করে ছাই।
অতপর বুঝলে ভুল
ওড়ালে চুল
বললে আমায় বেশি টাইট দিয়েছি
তোমার কথায়
কত যে হেসেছি।


মনে পড়ে তোমার
মনোফুলে আসার আগেই
তোমাকে নিয়ে রচেছি ঝরাপাতা কাব্য
এক এক করে
তোমি আমি রোপন করেছি
কত কোটি চারা
ফুটেছে শত কোটি ফুল।
একটি সমাজ রাষ্ট্র ঘর সংসার মনোফুল
নষ্ট করতে
একটি দ্বাজ্বালেই যথেষ্ট
আজো সেখানেই তেল মাখাও
মনে পড়ে তোমার
এখানে কোন তেল দিতে হতোনা ।


পৃথিবীর ইতিহাসে নেই
আমার আততায়ীর কাছে তোমার
একি নীল চক্রান্ত
তাও পলাশীর মীরজাফরের মতো
ক্ষত বিক্ষত ।
তারপর ও ভালোবাসি
বেসে যাবো
ঘৃণা নয় তুমি জেনে রেখো
আমি তোমার জয় চাই ।
বেগম রোকেয়ার মতো দেখতে চাই
কোন ঘষেটির মুখ নয় ।
পারো যদি রোকেয়া হয়ে
একবার ডাক দিও প্রিয়
ভুলে যাবো অতীতের সব রঙ
আবার হাসবো
আবার মাতাল হবো তোমার জন্য
মনে পড়বে তোমার ?


এই মানুষ নিজের কথা না ভেবে
তোমাকে নিয়েই ভাবতো সারাক্ষণ
এখনো ভাবে
আজীবন ভাববে
এই আমার ভালোবাসা
হয়তো তাও মনে থাকবেনা আর ।
৭/৯/১৬
দুধবহর সুনামগঞ্জ