.......


আলোতে থাকতে আমার আর মন চায়না
আজ থেকে নিরবে দেখছি
কাল চলে যাবে যে পশু  
তার চোখে জল।
তোমার চোখে কি ঝরেছে এভাবে কভু
বেদনার ঢল
বলো সুনির্মল।


স্বীয় দহনে ধুইতে যদি না পারো দেহ আত্মা
তোমার আমার চেয়ে আর কে শয়তান বলো
নেই কোন প্রেতাত্মা।


বজ্রকম্পে পৃথিবী কাঁপে  কাঁপেকি তোমার মন
অনুশোচনা আসে কি কভু একদিন শেষ হবে সব আয়োজন।


কুরবানী সে তো কুরবানী নয়
কুরবানী এ এক বড় শিক্ষা
নিতেকি পারো কুরবানী থেকে নিজের আসল দীক্ষা ।
সকাল গিয়েছে বিকাল হয়েছে
সন্ধ্যা একটু পর
কুরবানী করো থাকতে সময়
আসলো  তুফান ঝড়।


খোদা যে মহান মহা মহীয়ান
নাই তুলনা তাঁর
অল্প বেশি সবটায় বুঝেন
বুঝেন হাহাকার।


তোমার গলেতে ছুরি না চালায়ে পশুর গলেতে চলে
কেমন করে এমন প্রেম যে যাও গো তুমি ভুলে।


সৃস্টির সেরা করেছে তোমায় মাংস খেতে নয়,
মানবতা ছিটাও অসহায়কে বিলাও শস্যতারি নাও।


এসা সৎকার করি জীবন জনমের
এসো সুভাস ছড়ায় সুন্দর ভুবনের।


গরু দুম্বা উট বার বার জবাই হয় কখনো কাঁদেনা ,
সারা বছর জবাই হয় কখনো কাঁদে না,
কুরবানীর সময় নিরবে কাঁদে বোবা পশু
সুখের তীব্রতায়।


জানোকি মানুষ কেঁদেছো কি একবার
শ্রদ্ধা ও সম্মানের আশায়
বারবার সম্মান কেড়ে নিতে
আঘাতে পুড়িয়ে দিতে হেসে যাও
বেলা অবেলায়।


লোভ অহমিকা বিলাসে
চলেছো বীরদর্পে হেসে
অথচ তোমারে রেখে মহান
পশুরে করেছে দান
ভেবেছো কি সেই এতে অনুদান।


সৎকার করো অন্তরাত্মা শুদ্ধ করো মন
কল্পনায় কুরবানী করো স্বীয় পশুত্ব সৃজন।


আজরাঈল এলো মাটিকে নিতে মানুষ সৃজিবে আল্লায়
মাটি বলে আমাকে নিসনা দিলাম খোদার দোহায়।
আজরাইল বলে কার দোহায় দিস
যে দিয়েছে আদেশ মোরে
খাপ মেরে ধরে মুঠোতে করে
মাটি নিয়ে যায় ওরে।


পশু পাখি মানুষ করিলো সৃজন
মহান আল্লাহ তায়ালা
তাঁর চেয়ে কে আছে আর
ইহ পরকালে এতো দিলঢালা।