..
কত শত পাক হায়েনা ধর্ষন করার পর
নারী তুমি উপাধী পেয়েছো বীরাঙ্গনা?
রনে বনে জলে জঙ্গলে উপহাসের লালা চিত্র
মুছে কি দিয়েছিলো এতোটুকু প্রেম
না আরো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
নদী সাগর পেরিয়ে মহাসাগরের ত্রি সীমানায়।
এখন তোমার মরার বয়স।
অর্ধেক পা কবরে আর অর্ধেক পাগারে
ক্ষুধা যাতনা ব্যর্থতার নীল ছোবলে
তুমি হয়তো জনোনা
বীরাঙ্গনা কাকে বলে।
ঠিক তোমারি মতো এখনো শত শত অসহায় নারী  ধর্ষিত হয়
পাচার হয়
নির্বিচারে পাড় পেয়ে যায় পাক হায়েনার চর।
এই দেশেই তো একদিন রাজাকারের গাড়িতে টাঙ্গানো ছিলো পতাকা
কেমন করে সয়েছিলে প্রিয় উপহাস।
কেউ জানুক আর না জানুক
বীরাঙ্গনা বেশ ভালো করে জানে
তেলের মাথায় তেল আর
তেলহীন উসকু খুশকো জরিনা ও চৈতা পাগলীর কপালে
আইন নেই আইনের সাধনা নেই
গাছ নেই মাছ নেই ছাতা মাতা পাতা কিছুই নেই
ওরা আজীবন বিলিয়ে যায়
বিলাতে হয় শরীরের মাংস
পদে পদে চেয়ারে চেয়ারে নইলে রেহাই নেই
বাঁচার কোন পথ নেই
তারপর সকালের আলোতে বাঁচার জন্য
বেঁচে থাকতে হয় জীবনের মতো করে
নীল পতাকায় হলুদ মানচিত্রে চলে জীবনের কষাঘাত।।
বীরাঙ্গনা বেশ ভালো করে জানে
অশিক্ষিত মহাজন চলে গেছে শিক্ষিত মহাজন এসেছে
সওদাগর সেতো জ্বালায় আগর খান্দানি বেশে।
বীরাঙ্গনার কেশে এখনো অন্ধকার জমাট বদ্ধ কুশকী ।
খুলে দাও দোর আমি মুক্ত ভোর চাই
আর কত জমিদারী আর কত বাহাদুরী
আমি চিৎকার করে বলতে চাই
এই বিজয়ের মায়ের নাম বীরাঙ্গনা !!!
এই আঙ্গিনায় বন্ধ হোক
সহায় অসহায় নারীর প্রতি অমানবিক অত্যাচার!
শুনবে কি কোন কান!
দেখবে কি কোন চোখ !
ফাটবে কি কোন বুক!
কংশের বুকে লাশ নেই
জল একাত্তরের মতোই বহমান
জয় বাংলা মুছেনি
জয়বাংলা মুছবেনা
এসো গাই জয়বাংলার গান।।।