হে সৌলজার!!
মনে আছে তোমার
শপথের সময় বলেছিলে
জান দিবে প্রাণ দিবে  রক্ত দিবে
শপথ নিয়ে কেন এত রক্ত খাচ্ছো?
জান খাচ্ছো ? মান খাচ্ছো।।


কৈফিয়ত দিতেই হবে
এই অস্ত্র দিয়েছিলাম তুলে ভালবাসার মূল্য দেবে
এই সনদ নিয়েছিলে চোখের জলে মায়ের কসম কেটে
মাটির বুকে রেখেছিলে হাত
ঘাত প্রতিঘাত মিটিয়ে দেবে
রক্ষা করবে শত্রুর হাত থেকে
আমার দেশ দশ মাতৃকা।


পদে পদে কিসের অভিশাপ
আর পাপে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ো
ঝর্ণার মতো কার কান্না রোজকে রোজ বয়ে যায় ।
দাঁড়াও সৌলজার !
নব সজ্জিত যতো কারাগার
সব তোমার জন্য উপহার ।
তুমি আমার কিছু নও
ভাই নও, বোন নও, রক্ত নও
তুমিও আততায়ী তুমিও  শত্রু।
দেখো ভালো করে দেখো
তোমার হাতে লেগে আছে  মা মাটি দেশের দুঃসংবাদ
তোমার কপালে লেগে আছে
আমার মাতৃকার রক্ত
শত শত লাশ
তুমি আজ নিতান্তই উপহাসের পাত্র।
তোমকে দিয়ে কিছুই হবেনা হে কিছুই হবেনা


যে আগুন আজ  জ্বলেছে
সে আগুন নেভানোর নদী নেই
সাগর নেই
হাওর নেই ।
বাংলার বুকে এত গজব কেন ?
সব তোমারি কারনে
তোমার নিশানা ঠিক না
হালাল অস্ত্র হারামি কাজে লাগাও
অপেক্ষা করো কত আজব আসছে তেড়ে।
হাওরের জল গেলো
মাছ গেলো
ভুকম্পন আসছে সাইক্লোন
আসছে আর ও কত কি আসছে !!
হে স্যেলজার তুমি রচনা করে দিলে
তোমার পরাজয়
অপারগতা
হরিলুটের মহাবাজার,
তোমাকে নিয়ে মহাকাব্য হবে
তোমার জন্যই রক্তে রঞ্জিত নব কারাগার।