গতকাল রাত্রে যখন আমার দেশ পরম নিদ্রায়
সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে,চাদরের ওমে জড়িয়ে নিয়ে ছিল
নিজের সমস্ত শরীর--জ্যোৎস্না আলো গায়ে মেখে।
তখন পূর্ণিমার চোখ ধাঁধানো আলোতে ধর্ষিত হলো জ্যোৎস্না।


না সে গভীর রাত্রে একলা বের হয়নি,
পরনে শাড়ি ছিল তার।
ঘরে তার পাঁচ বছরের শিশু আর পঙ্গু স্বামীকে ফেলে
বেরিয়ে ছিল সূর্যালোকে।
খাদ্যের অন্নেসনে--অন্ন যোগাড়ে।


কিন্তু হায়,কিছু যৌন ক্ষুদার নপুংসক পশু
তাদের কামনার ক্ষুদা নিবারণের জন্য
ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দল গত হয়ে।
তার শরীর টাকে রক্তের ঘ্রানে ভক্ষণ করেছে।


শুধু ভক্ষণ করে পরিতৃপ্ত নয় তারা
যোনি পথ দিয়ে ভরেছে পাথর!
লোহার রড,সহ কত কিছু।
যে পথ জন্ম দেয় নব জাতকের সে পথ ক্ষত।
যোনি পথ সম্পূর্ণ ভর্তি করেও বিরাম নেই শান্তি নেই।


কেউ জানতে চাইনি জাত ধর্ম
শুধু নির্যাতন আর নির্যাতিতা!
আর পরাজিত নির্যাতিতা কে নিয়ে বিজয়ের প্রহসন।


সমাজের বুকে আরো একবার জ্বলবে আগুন
মোম থেকে শ্মশান।ধর্ষিতার কাবাব রান্না হবে বলে।
বেশ ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধের নরম তুলতুলে কাবাব!
সভ্যসমাজ থেকে রাজনীতি সকলে ছুটবে।
নরম তুলতুলে মাংসের লোভে।


এক বারো কেউ জানবে না জানতে চাইবে না
দলিত কাবাব না উচ্চ বর্ণের।
আসলে ধর্ষকের যেমন কোনো জাতি হয়না
ধর্ষিতাও কোনো জাতি কে প্রতিনিধিত্ব করে না।
রাজনীতি স্বার্থে করে দলিত দলিত খেলা....


এমনি হতে হতে পৃথিবীও ভুলে যাবে রজ:স্বলা হতে
সব সীতা আশ্রয় খুঁজবে প্রকৃতি মায়ের কোলে।
সৃষ্টি থমকে দাঁড়াবে নিশ্চুপ হয়ে,
পারবে ধর্ষক কে রক্ষা করতে কোনো অজুহাতে।
মিথ্যে মানব দরদী বা রাজনীতি করে


                                        সময়:রাত১১টা
                                        তারিখ:০৬/১০/২০