ধর্মতলা থেকে সবে  দুশ-তেইশ নম্বর বাসটা চলে গেল,
অনেকটা ধুল আর ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বেহালার দিকে।
সেই ধোঁয়া আর ধূলিকনাকে  শান্ত করার জন্য
আমার এ প্রেমের শহরে ঝরে পড়লো মুসলধারা।


কর্ম ব্যস্ত একটা শহর আশ্রয় নিলো নিরাপদে
সেই মুসলধারাই ক্রমে ক্রমে সিক্ত হলো-
প্রেমিক-প্রেমিকার দেহ মন।
আস্তে আস্তে হাত ছুঁলো হাত,খুঁজে পেল আশ্রয়-ঠিকানা।


রিতা এ শহর প্রেমের শহর
এখানেও বৃষ্টি নামে তোমার পাহাড় দেশের মতন।
বৃষ্টি ভেজা এ শহরে কাদা মাখে প্রেমিক -প্রেমিকা-
নাবালক শিশুর মতন।


এ শহর তোমার বয়সী, কী ঠিক তোমার সহোদর-
নব যৌবনা এ শহর ছেড়ে কোথায় যাবে রিতা?
এ শহরের বুকে আজও জন্ম নেয় সবুজ তরুবর,
রিতা হারিয়ে যেও না এ শহরে তোমার প্রয়োজন।


এখনো আমাদের প্রেমের শহরে বৃষ্টি ভেজা বাকি-
বাকি উপন্যাস রচনা-কাল জয়ী সব কবিতারা নিশ্চুপ!
এখনো প্রিন্সেপ ঘাটে বসে দেখা হয়নি-
বৃষ্টির প্রতি গঙ্গার প্রেম,তার ফুলে ফেঁপে ওঠা
যৌবনা নদীর ছুটে -ছুটে চলা গন্তব্যের দিকে....


চলে যেও না রিতা এই মধু-মুহূর্তে
আমার কপালে ছুঁয়ে দাও সেই মধুর-মাধুরী
এই প্রেমের শহরে,এই বৃষ্টির শহরে,
আমি একা!বড্ড একা!


এই কংক্রিটের শহরে এখনো বৃষ্টি নামে,
সারাটা শহর সিক্ত করে,ভিজায় সব ধূলিকনা-
এক নৈঃসর্গিক গন্ধ ওঠে-তোমার শরীরের মতো।
এই শহর ছেড়ে যেও না রিতা।


তুমি পাশে থাকলে এই শহরে ফোটাবো হাজার সুগন্ধি ফুল
করতে পারি তোমার কারণে অনেক পণ্ডশ্রম।
একশো-আটটা প্রদীপ জ্বালাবো ভালোবাসার নামে-
হারিয়ে যেও না এই বৃষ্টির-এই ভালোবাসার শহর থেকে।


তারিখ:-২৫/০৫/২১
সময়:-রাত ১টা