রমজানেরই শেষ দশ দিনের বিদায়ী জুমার দিন,
মুসলিম জাহান কেঁদে একাকার.
পেতে খোদাই ক্ষমার ঋণ।
ইমাম সাহেবের আকুতি ভরা দীর্ঘ মোনাজাত,
আমিন আমিন বলে সবাই মাগে মাগফিরাত।
আছর মাগরিব ইফতার শেষে এশার আযান চলে,
মসজিদ পানে ছুটে রোজাদার খোদাই প্রেমের বলে,
এমন সময় বিকৃত কয় উদ্যত তরুণ মিলে,
হাতে তুলে নেয় মরনাস্ত্র মানচিত্র খাবে গিলে!
   হলি আর্টিজান ব্রেকারীতে ঢুকে চালায় দানব কান্ড
   বিদেশী যত মেহমান আছে খুন করে ওরা পাষন্ড!
রুখতে তাদের কর্তব্যরত পুুলিশ ছুটে এলো,
   আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে গ্রেনেড ছুরে দিলো!
এমনি করে ঝরে গেল হায় বাইশটি তাজা প্রাণ,
বাংলাদেশের উন্নয়নে রাখতো যারা অবদান!
  শোক বিহবল পুরো জাতি শোকের মাতম না ভুলতে হায়,
   শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে লাশের সারি ফেলতে যায়!
আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে করে আল্লাহ নামের অপমান,
  কোন আল্লাহর জয়ধ্বনি তুলে উড়াতে চায় বিজয় নিশান!
   ওরা অশুচি ওরা কাপট্য ধুর্ত নেকড়ে দল,
  ওদের মাঝে আছেযে কেবল শঠতার মেওয়া ফল।
ওরা চেয়েছিল এমনি করে কতবা লাশের পাহাড় ঠেলে,
ঝাকিয়া উঠে হাকিয়া নিবে বাংলার মসনদ।
   তোমাদের বলি ভ্রান্ত মতের চেলা চামুন্ডা দল,
খোদার নামের পাক নাম নিয়ে কেন কর এত ছল?
   যে মানুষ খোদার সবচেয়ে প্রিয় গোপন প্রেমের নিধি,
জগতের মাঝে মানুষই হল আল্লাহর প্রতিনিধি।
  জেহাদ জেহাদ বল তোমরা জানো কি জেহাদের মর্ম বাণী?
  অন্তরের কুমন্ত্রণা হতে মুক্ত রাখাকে আকবর জানি।
শোননি তোমরা রাসুল পাকের অমিয় হাদীস খানি,
  রণ হতে আসলে ফিরে প্রিয় সাহাবা গন
  বলিতেন রাসুল সহাস্য বদনে
আজগর জেহাদ ছোট অতি বড়যে আকবর।
  সেই জেহাদের ধোয়া তুলে
  অন্তরে শত শঠতা লয়ে
  নিরীহ মানুষ জবাই করে
  পাবে কি জান্নাতি বর?
লাশ কাটা ঘরে দেখে যাও এসে
  তোমাদের সাথীর সুরত খানা,
  মরে দূর্গন্ধে পচে গলে আছে
  তোমাদের মতে শহীদ যারা।