কত্তরে বাহারি বাখারির চিলতে তুচ্ছ জীবন
প্রভাতে তৃপ্তির সাহারি তারই আধারে শমন।
যাচ্ছে কেউ বা আসছে ফেরার প্রহর গুণতে
অপেক্ষমান আমিও ওপারের তলব শুনতে।


মন্ত্রপাঠ-আজ নেই সে আধ্যাত্নিক ব্যুহ ভঙ্গী
ফোরকান পাঠচক্রে নিত্য চাই শিফার সঙ্গী।
গালবী,সাইমুমে ওয়েসিস হয়ে হও দৃশ্যমান
“ছটফট করেন না শুনতে পেয়ে”যাচ্ছে প্রাণ।

পড়ে যাবে ঝড় বিইজনিল্লাহ,করেছি মান্নাত
সবর করে চলো প্রিয়তমা সুহৃদ হে জান্নাত।
আতিপাতি খুঁজি,কি যেন নেই-হ্যা,সেই তুমি
এঁকেছো যত স্মৃতি আপাদত তাই চলি চুমি।


নিখোঁজ বলো না আমায় ব্যবধানে সাময়িক
যেখানেই থাকি যেভাবে তুমাতেই অমায়িক।
ভুলে যেও না জুয়াইরিয়া রেখো দৃঢ়  বিশ্বাস
আসবোই ফিরে যদি না ছাড়ি শেষ নিঃশ্বাস।


ঋক্ষের ভীরে কত অন্তরীক্ষ!শুন্যময় খসরা
ধরাতলে মহার্ঘ বটে কবর রাঙানোর পসরা।
থাক না সেসব প্রাধান্যে যেসব যুগ যুগ ধূমি
সত্যাপনে তুমি মুহসিনা,জগৎ জ্যোতি তুমি।


তুমা হতে পেয়েছি আলোক মাভৈ অন্ধকারে
পথভ্রষ্ট হতে চাই না সে আলোক প্রত্যাহারে।
ঝঞ্জাময় পথ,তম আলোকের এক অনুসারী
আশীষ ঢালিও প্রিয়তমা,দুর্গমে দিচ্ছি পাড়ি।


আমাকে নিখোঁজ বলো না,এটা নিশ্চয় ভুল
মুসলিম মুহসিন বলো,দিতে হবে না মাশুল।
ওহে বিদূষী,শান্ত মননের অধিকারিণী,শোন
বিধাতা যদি না বাধ সাধেন,বাধা নেই কোন।


অনাহূত,অনাদ্রিত তবু মুনাফিক জেনো নই
হৃদয়টা রেখেছি শৃঙ্খলে,ছেড়ে দিবো শীঘ্রই।
জাফনুন জাফরিন প্রিয়তমা জাফরান নুপুর
প্রার্থনায় রেখো সুবহে-আসুক না তপ্ত দুপুর।


নিখোঁজ ভেবো না করমচা,শ্বেত স্রোতস্বিনী!
কিভাবে দূরী উপেক্ষাতে প্রেয়সীর সঞ্জীবনী?
উৎকন্ঠা নয় শিশির স্নাত নীল-লোহিত ফুল
এসে এক জনাক নিশিতে ভেঙে দিবো ভুল।


০৫/১০/২০২২-আউশনারা,মধুপুর।