আমি সর্বনেশে সময় আর বৃষ্টির দিনে হেটেছি;
অজানা অদূরে কলুর বলদ হয়ে খেটেছি।
আমি ভবদাহে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের হেয়ালি ধোয়ার নৃত‌্যে ভেসেছি,
কল্পনা আর বাস্তবতার পথ-ঘাটে যাই যাই করে এসেছি-
ফিরে বার বার কারো মায়ায় কারো ছায়ায়।
অনুসরণের স্বরে বলেছি কতো- সুখ চাই।
নিত্য বাধা! আর ভরাট কণ্ঠে শুনেছি সুখ নাই,
এ ধরা সুখহীন তপ্ত বালুচর কিংবা মরুভূমি-
আশায় মরীচিকায় শতবার বেঁচেছি আমি নিঃশ্বাস চুমি।


আমি চিতা হতেও দীর্ঘশ্বাস পেয়েছি কতো
পুড়তে দেখেছি অনিচ্ছাতেই জনা শত শত।
তার পর সবুজের অন্তরালে ডালের এপাশ ওপাশ দেখেছি
অভিজ্ঞতার হাতছানি মিথ্যার আশ্বাসে নিমগ্ন হয়েছি-
বার বার কারো মতো করে বিশ্বাস হারাতে চেয়েছি
নিতান্তই অবিশ্বাস তারও ম্নান বদনে পেয়েছি ।


আমি কষ্ট-সুখের একটি পয়সা পেয়েছি
যার একপৃষ্ঠ আমার জন্য বরাদ্দ থেকে গেছে।
আমি ঝাঁপিভর্তি এক হ্রাস ধোঁয়া কিনেছি
দামহীন তবুও অমূল্যই রয়ে গেছে বার বার
আমি ধোঁকাতেই থেকে বলেছি সব তার, সব তার।
আমি আধপোড়া শব রয়ে গেছি সবার অন্তরালে
অন্তরীক্ষের নাম পেয়ে পেয়ে বেনামী হয়ে গেছি আড়ালে।