কিছু শ্মশানচারী মুক্ত সাদা হেয়,
আছে উন্মুক্ত শব যার বিগলিত দেহ।
যাদের হৃদয় আজো শক্ত কঠোর অনির্মল
যাদের হৃদয় আজো সীসা সম; নহে কোমল।
রক্তক্ষরণে ভেজা কলিজার অন্তস্থল
দিশেহারার মতো নাহি খুজে একটু তৃষিত জল।
উষ্ণ থেকে উত্তপ্ত জ্বলন্ত নিহারিকা
হৃদয় গহ্বর জুড়িয়া আছে বিশাল শূন্যতা।
ঝরা দেহে আজো তব অনুভব ফুটে ওঠে
আজো চায় অধর রাখিতে নিজেকে তব ঠোঁটে।
ভালোবাসা নিঃশেষ নয়,যদিও থাকে না কেহ টিকে
অস্তিত্ব যদিও হয়ে আসে ক্ষণে পিকে।
তব মোহ টানে মোরে জীবিত করার প্রয়াসে
চারিদিকে মোর মৃত্তিকারা অট্টহাসি তাই হাসে।
জীবন তাসের টেক্কা হাতে রেখে ছাড়নি সুযোগ বুঝে
ব্যাথিত নয়ন স্বার্থপর যে, আজ কেন তারে খোঁজে?
কোন নীতি নেই কাম লালসায় সজীবে কিংবা ত্যাগে
যে জন বজিবে সে জন জানিবে মজিনু কেন আগে।
থাকিতে যে জন না সুধিবে কাঙালির মমতা
মৃতে আর জীবে নেই তার মাঝে ক্ষুদ্রতারও সমতা।
তারে আদৌ ভালোবাসি আদিম অতীত থেকে
মোরে কি সে করিবে স্মরণ গোপন ভাবে রেখে।
ফিরায়ে দিবে না মোরে জানি কখনো নারী
ছেড়ে যেতে হবে নিজের মতো মধু স্বাদটুকু ছাড়ি।
তাহার উদর বহিবে না আমার শান্তির স্মৃতি
ভালোবেসে মোরে হেরে যেতে হবে কপালে আঁকা রীতি।
তারে আমি হারাবো জীব হয়ে, তাহাতে হবে না ক্ষতি
অসীমতায় সাথী হবে মোর, হৃদয়ে আশার যতি।