তোমারটুকু তুমি বুঝে পেয়েছো;
বাকীরা সব পেয়েছে কি সেটা দেখনি
তোমার জন্য যে সব দিল ত্যাগ;
কেড়েছো সব রস তার,তাকে বুঝনি।


গাছ তো মাটি থেকে রস নিয়ে বাঁচে,
বেঁচে থাকা নির্ভর ও সৌরের অাঁচে,
তারপরও কোনদিন দেয়নি কো ফাঁকি
যে ভাবে তোমার মনে ছিল লুকা-লুকি।


তোমার মাঝে তুমি খুজেছো কাকে?
তোমাকে যে দিয়ে যায় জানো তুমি সে কে?
তবুও তো কোনদিন প্রশ্ন করনি জানতে
অন্যকে কোনদিনও পেরেছো কি মানতে?


যা চেয়েছো, পেয়েছো তার সবি
মনে তাই আঁকো তুমি গর্বের ছবি;
মূল খুজে দেখো তুমি পাওয়া না পাওয়ার
কোনই তো কারণ নেই দাম্ভিক হওয়ার।


দেখেছো কি আকাশটা মাথারও উপরে
ক্ষনে ক্ষনে কাঁদে হাসে সে কার তরে?
ঝুম ঝুম বৃষ্টি, কিছুটা রোদ ছায়া
ভেবেছো কি কখনো সবি কার মায়া?


ছেয়ে দেখো নদী-সাগর বহে কার পানে
মাঝে মাঝে মনে হয়, ওরা আপন হতে টানে;
তেষ্টায় জল আর প্রয়োজনে ওরা
তোমাকেই খুজে কেন হয়ে দিশেহারা?


গাছটা ও ফল-ফুল, আশ্রয় দিয়ে
নিজেকে বিলায় সে কোথায় কি পেয়ে?
তবুও ভাঙার পর হাতে তার ডাল
নিজেকে ত্যাগিতে সে ছেড়েছে কি হাল?


তোমার নিজেকে নিয়ে কেন পড়ে থাক
নিজের যত স্বপ্ন তাই শুধু কেন আঁকো?
নিজেকে কেন তুমি ভাবনা কো পর?
কারণ তুমি হীন,তুমি স্বার্থপর।