সহনীয় নয় কভু,
অনিমেষ কেন যে কারো পক্ষে
যে কষ্টের ধারা তুমি বহিয়াছ আপন বক্ষে।
যন্ত্রণা তুচ্ছ করে ধরণী দেখাইয়াছ স্ব-চক্ষে,
চুকানো অসম্ভব তোমার ক্ষণিকের ত্যাগ-তিতিক্ষে।।
মহীয়সী জননী,
আনয়ন করিয়াছ এই ভুপৃষ্ঠে চাও নি কভু কিছু,
চেয়েছ কেবল এতটুকুই;আঁচল আঁকড়ে হাঁটুক তোমার পিছু।
হে অনিমেষের মা,
তোমারই নাতি হয়েছে আজ পুত্র কোটি-পতির,
অথচ তুমি বৃদ্ধার শেষ সম্বল জীর্ণশীর্ণ কুটির..
পুত্র তোমার থাকে এখন আলিশান বাড়িতে
ঝড়-বৃষ্টি-বন্যা-খরায় তোমায় আগলাচ্ছে কে?
পুত্র তোমার পেয়েছে মাগো অর্থের অমরত্ব
তবু তোমার পিঠের নিচে খড়ের রাজত্ব(!)
নিজের অন্ন যারে তুমি করেছিলে দান
তোমায় মা ডাকলে পরে এখন যায় তার মান(!)
জানি তোমায় এসব বলার অধিকার আমার নাই,
এও জানি অনিমেষের ব্যাপারে তোমার দুঃখ কভু নাই.
সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে আমি মাতৃহীন এতিম,
হ্রদয়-অনুভূতি হারাই আমি,মাতৃ-বিয়োগ যেদিন।
তোমায় দেখে অনুভূতিরা উঠলো আবার জেগে
ভরদুপুরে মাতৃ-শোকে কাঁদি তীব্র বেগে।
হতচ্ছাড়া সত্যি তুই পাষাণ অনিমেষ
বৃদ্ধা মাকে পেয়েও তুই হারালি স্বর্গদেশ।।