ঘোলা নোনা জল পাক খায় , পোড়া কাঠ নিয়ে
ছিন্ন ঘরের বিচালি তাও-
ভাঙা বাঁধের নিচে পড়ে থাকা গাছ
শুন্যে শিকড় তুলে আকাশের দিকে,
পাতা হীন ডালে নোনা ভেজা মাটির প্রলেপে
ডুবু ডুবু চালা ঘরের চালে..
মরা দেহের মাংস লুকায় –
কৃষ্ণা কাকটা!
তিরতিরে হিমেল বাতাস,নাচায় মাঠের বুকে-
নিচে ডুবন্ত ধানের ক্ষেতে মাছরা খেলা করে;
কৃষকের বুকে কঠিন পাষাণ
বাস্পাশ্রু দু চোখে জ্বালা ধরায়।
বাঁশের খাঁচার ইট বিদ্রুপে হাসে
মনে পড়ে –
এখন সেখানে কালো নৌকা গুলো পিন বাগদা ধরে,
ওর নিচে আমাদের আটচালা ঘর ছিল।
চলে গেছে সব বিশ বছর আগে.. নদীর জলে
ভাঙন নিয়েছে সব গ্রাস করে!
কালিন্দী আজও রাতে ফিসফিস করে
ফন্দির কথা বলে ।
ওপার বাংলার সাথে ভাব –গলাগলি
ঠিক যেন মিতা !
এপারে ভাঙন ওপারে চড়া ,
তাই আমি গৃহ ছাড়া ।  
    -----(খেলাঘর)