এ কি ! কাকে খুঁজছো এমন অবিন্যস্ত হয়ে
শহরের পথে পথে কৃষ্ণচুড়ার ছায়ায়,
উদ্ভ্রান্তের  মতো ছুটে চলেছো ময়দানে, রাজপথে
এমনকি খনন করছো গঙ্গা বক্ষ ?
শুধু একটিবার বলো, খুঁজছো কাকে ?
এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে যাওনা অনন্য,
পূর্ণ পাত্র জলে একটু সেবা করি তোমার
এসো ব’সে দুদন্ড কথা বলি
কতদিনের কত না বলা কথা !
তোমার ক্লান্তিতে, ব্যাকুলতায়, অন্তর্দাহে যার ছবি
সে যে অতীতের বাস্তব; অবয়বহীন হয়েছে সে সময়ের ভারে,
তার রঙ ধুয়ে গেছে কান্নার জোয়ারে;
তুমি কি এখনো তাকে খুঁজবে পায়ে হেঁটে পথে পথে ?
নিঃশেষ করে তোমার জীবন, যৌবন ,পড়ন্ত অপরাহ্নের বেলা,
বিলিয়ে দেবে বার্ধ্যক্যের শেষ সম্বল, জ্বরা, দুর্বলতা
তার অন্বেষণে ? চুপ ক’রে থেকো না অনন্য ;
অতীতের হাত ধ’রে হোক তোমার অন্তর্দর্শন।
বুক চেপে ধ’রে হৃদস্পন্দনে অনুভব করো তার সাড়া; খুঁজে নাও-
তোমার পথ, গতি, অবলম্বন।


© অবন্তিকা সরকার, ২০১৫ (২২শে মার্চ, ২০১৫)