এক যে ছিল মোরগ
আর এক যে ছিল শেয়াল,
হয় না দু'য়ে কোনো মিল
মোরগের ছিল না সে খেয়াল।


শেয়াল কাঁদল মায়া কান্না
মোরগ ভাবল কষ্ট,
খোঁয়াড় থেকে কিছু তো ঠিক
বোঝা যায় না স্পষ্ট।
যার কষ্ট সেই বুঝে নিক
উৎসাহের কি কারণ!
কৌতুহলী মন তবু যে
শোনে না কোনো বারণ।
শেষমেষ তবে বের হলো সে
ঘুমকে করে নষ্ট।


শেয়াল বলে এইতো শালা
পড়েছো আমার ফাঁদে,
মোরগ কাছে আসছে দেখে
আরো জোরে কাঁদে।
আয় কাছে আয় বোকা মোরগ
তুই যে বড় ভালো,
নাহলে এই দুর্দিনে আমার
আর কে বা কাছে এলো!


মোরগ কাছে এসে বলে,
আহা শেয়াল ভাই!
এতো রাতে কাঁদো কেনো?
তোমার কি এমন চাই!


শেয়াল এবার মৃদূ স্বরে
গোমড়া করে মুখ,
'খাইনি দুদিন কিছু', বলে
কেঁদে ভাসায় বুক।
মোরগ বলে আচ্ছা তবে
দেখছি ফিরে গিয়ে,
খুঁদ-চাল কিছু আছে নাকি
আসি তবে নিয়ে!


এবার শেয়াল অট্ট হেঁসে
হুক্কা হুয়া ডাকে,
এসেছো তুমি মোরগ ভায়া
চাই আর বলো কাকে!


এরপর শেয়াল,
আগাটা থাবালো,
তলাটাও কুড়ালো,
ক্ষিদেটা জুড়ালো,
গল্পও ফুরালো।


তবে শেষ বললেই গল্প
হয় কি শেষ?
এ তো জাত ধূর্ততা বনাম
মূর্খের দেশ!
সবাই এখানে পড়ে থাকে
কেবল ছদ্মবেশ;
কেউ বা সাধু সেজে ছড়ায়
ধুম্রজাল নির্নিমেষ।


তারপর?
অন্য কোনো মোরগ
আবারো সেই শেয়াল,
এবার সবাই জানে
গল্পের শেষ হাল।
এভাবেই চলছে অনন্তকাল…